ফিলিস্তিনজুড়ে নজিরবিহীন ধর্মঘট

ফিলিস্তিনজুড়ে নজিরবিহীন ধর্মঘট

গাজা উপত্যকায় ইসরাইলের বোমা হামলার প্রতিবাদে গাজা, অধিকৃত পশ্চিম তীর ও ইসরাইলি নগরীগুলোতে নজিরবিহীন ধর্মঘট চলছে। আজ মঙ্গলবার সরকার থেকেই সব দোকানপাট বন্ধ রয়েছে।

গাজা পরিচালনাকারী প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস ও ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষের প্রধান দল ফাতাহ উভয় গ্রুপই এই ধর্মঘট সমর্থন করেছে। ফিলিস্তিনিরা সব ধরনের অর্থনৈতিক কার্যক্রম থেকে বিরত রয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোও বন্ধ রয়েছে।

আল জাজিরার নিদা ইব্রাহিম রামাল্লা থেকে বলেন, কয়েক দশকের মধ্যে এই প্রথম দল-মত-নির্বিশেষে সব ফিলিস্তিনি এ ধরনের সাধারণ ধর্মঘটে অংশ নিচ্ছে। সূত্র : আল জাজিরা

ইসরাইল-ফিলিস্তিন সঙ্ঘাত ‘গাজাকে ব্যাপকভাবে’ অস্থিতিশীল করে তুলছে : মার্কিন সামরিক প্রধান

ইসরাইল ও ফিলিস্তিনি হামাস যোদ্ধাদের মধ্যে সংঘাত গাজাকে ব্যাপকভাবে অস্থিতিশীল করে তুলছে, সে ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা সতর্ক করে বলেছেন, যুদ্ধ অব্যাহত রাখার ক্ষেত্রে কারো কোনো স্বার্থ নেই। খবর এএফপি’র।

চেয়ারম্যান অব জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ মার্ক মিলি প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের মন্তব্যের প্রতিধ্বনি করে উভয় পক্ষকে এ সংঘাত নিরসনের আহ্বান জানান। এর আগে এ সহিংসতার ব্যাপারে বাইডেন বলেন, তিনি অস্ত্রবিরতি পালন সমর্থন করেন। ন্যাটোর বৈঠকের জন্য ব্রাসেলসে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে মিলি এসব কথা বলেন।

হামাসের প্রতি ইরানের সম্ভাব্য সমর্থনের ব্যাপারে জানতে চাইলে বুধবার রাতে মিলি বলেন, ‘এ সঙ্ঘাতে বহু সংখ্যক মানুষ হতাহত হয়েছে এবং এক্ষেত্রে আমি মনেকরি যে সহিংসতার মাত্রা গাজার সীমিত এলাকাকে ব্যাপকভাবে অস্থিতিশীল করে তুলছে।’

স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানায়, গত সপ্তাহে গাজা উপত্যকায় ইসরাইল ও সশস্ত্র ফিলিস্তিনি গ্রুপের মধ্যে ব্যাপক সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ার পর দুই শতাধিক ফিলিস্তিনি নাগরিক নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে ৬১ শিশু রয়েছে।

এদিকে ইসরাইলে চালানো বিভিন্ন রকেট হামলায় ১০ জন প্রাণ হারিয়েছে।

সোমবার ওয়াশিংটন তৃতীয়বারের মতো এ সহিংসতা বন্ধের আহ্বান জানিয়ে প্রস্তুত করা জাতিসঙ্ঘের একটি খসড়া প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছে। তবে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রীর সাথে ফোনালাপে বাইডেন বলেন, তিনি অস্ত্রবিরতি পালন সমর্থন করেন।

মিলি সাংবাদিকদের বলেন, ‘কেউ ইসরাইলের আত্মরক্ষার অধিকার অস্বীকার করছে না।’
‘তবে বলা হচ্ছে যে এক্ষেত্রে সহিংসতার মাত্রা যে পর্যায়ে উঠেছে সেক্ষেত্রে যুদ্ধ অব্যাহত রাখার ব্যাপারে কারো কোনো স্বার্থ নেই। কেননা, এ যুদ্ধে বেসামরিক মানুষ নিহত হচ্ছে। শিশুরা প্রাণ হারাচ্ছে।’ সূত্র : এএফপি

এমজে/