মিয়ামির সেই ভবনটির ত্রুটি নিয়ে আগেই সতর্ক করেছিলেন প্রকৌশলীরা

মিয়ামির সেই ভবনটির ত্রুটি নিয়ে আগেই সতর্ক করেছিলেন প্রকৌশলীরা

যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের মিয়ামির সার্ফসাইডের ভবনধসের ব্যাপারে আগেই সতর্ক করেছিলেন প্রকৌশলীরা। এই ভবনের মূল নকশায় ত্রুটি ছিল।

এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৮ সালে প্রকৌশলীরা সতর্ক করে বলেছিলেন, এই ত্রুটির কারণে ভবনের বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারে। খবর বিবিসি ও এএফপির।

এদিকে শনিবার আরও একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ নিয়ে বৃহস্পতিবার সার্ফসাইডের ওই ভবনধসের পর এ পর্যন্ত পাঁচজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ধসে যাওয়া ওই ভবনের ১৫৯ জন বাসিন্দা এখনও নিখোঁজ রয়েছেন।

প্রায় তিন বছর আগে ওই ভবনের অবকাঠামোসংক্রান্ত একটি সমীক্ষা চালানো হয়েছিল। এতে বলা হয়, ভবনের পার্কিংয়ে ফাটল রয়েছে। এ ছাড়া ভবনের পুলের নিচের স্ল্যাবেও ত্রুটি রয়েছে। আর ভবনের ছাদ সংস্কারের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল সম্প্রতি।

এ ত্রুটি নিয়ে প্রথম প্রতিবেদন প্রকাশ করে যুক্তরাষ্ট্রের পত্রিকা নিউইয়র্ক টাইমস। এ ছাড়া সার্ফসাইড শহরের ওয়েব সাইটেও এই সমীক্ষা প্রতিবেদনের বেশ কিছু নথি প্রকাশ করা হয়। সিএনএনের খবরে দুটি ছবি প্রকাশ করা হয়েছে। এতে দেখা যায়, ভবনের দুটি ইউনিটের বেলকনির স্ল্যাবে ফাটল ধরেছে।

আটকেপড়া ব্যক্তিদের অবস্থা এখনও জানা যায়নি। তাদের খবর পেতে অপেক্ষায় রয়েছে অনেক পরিবার। ধসের এর পর থেকেই সেখানে উদ্ধার কাজ চলছে। উদ্ধারকর্মীরা বলছেন, ধ্বংসস্তূপের নিচে মানুষের বেঁচে থাকার স্পন্দন টের পাচ্ছেন তারা।

গত বৃহস্পতিবার ওই ভবনের একটি অংশ ধসে গেলেও আরেক অংশে বাসিন্দারা এখনও রয়ে গেছেন। ঝুঁকি থাকায় সেই অংশের ফ্ল্যাটগুলো থেকেও বাসিন্দাদের সরে যেতে বলা হয়েছে।

পুলিশ বলেছে, ওই ভবন নির্মাণ করা হয়েছিল ১৯৮০ সালে। এতে ১৩০টি ইউনিট ছিল। এই ধসের কারণে অর্ধেক ইউনিট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আর ধসের সময় ঠিক কতজন ভবনে উপস্থিত ছিল, তা পরিষ্কার নয়।

কর্তৃপক্ষ বলেছে, ওই ভবনের কিছু অংশ সংস্কারের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। এই ভবনের পাশেই আরেকটি ভবন সম্প্রতি নির্মাণ করা হয়েছে। ঠিক কী কারণে ভবনটি ধসে গেছে, তা এখনও জানা যায়নি।

এমজে/