গ্রিসে ভ্যাকসিন নিয়ে রণক্ষেত্র!

গ্রিসে ভ্যাকসিন নিয়ে রণক্ষেত্র!

ভ্যাকসিনবিরোধী বিক্ষোভে রণক্ষেত্র গ্রিস। শনিবার দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় শহর থেসালনকির রাজপথে নামেন হাজার হাজার মানুষ।

এ সময় তাদের ছত্রভঙ্গ করতে রাবার বুলেট ও জলকামান নিক্ষেপ করে পুলিশ। বিক্ষোভকারীরাও পাল্টা ইটপাটকলে ছুড়লে শুরু হয় সংঘর্ষ। চলে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া।

গ্রিস সরকারের বার্ষিক অর্থনীতি পরিকল্পনা ও ভ্যাকসিন নীতির প্রতিবাদে শনিবার রাস্তায় নামেন শত শত মানুষ। এ সময় বিক্ষোভ দমনে কঠোর অবস্থান নেয় পুলিশ। আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে রাবার বুলেট ও জলকামান নিক্ষেপ করা হয়।

এ সময় বিক্ষোভকারীরাও পাল্টা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে শুরু হয় সংঘর্ষ। মুহূর্তেই রণক্ষেত্রে পরিণত হয় পুরো এলাকা। চলে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া। একপর্যায়ে আশাপাশের ভবনে ব্যাপক ভাঙচুর ও রাস্তায় আগুন ধরিয়ে অবরোধ করে রাখে আন্দোলনকারী। দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত হন বেশ কয়েকজন।

‘সরকারকে একটি কথাই বলতে চাই এভাবে আমাদের দমিয়ে রাখা যাবে না। তারা আমাদের কাছে হাসির পাত্র হচ্ছেন। নতুন আইন করে আমাদের শ্রমিকদের বিপদের মুখে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। আমাদের এ আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।’

এর আগে, করোনা ভাইরাস মোকাবিলা ও অর্থনীতি শক্তিশালী করতে বার্ষিক পরিকল্পনা ঘোষণা দেন গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী রিয়াকোস মিটসোটাকিস। তার ওই পরিকল্পনায় ভ্যাকসিন কার্যক্রমকে সবচেয়ে গুরুত্ব দেওয়া হয়। বলা হয় ভ্যাকসিন ছাড়া কোনো শিল্পপ্রতিষ্ঠানে কাজ করতে পারবে না কর্মীরা। মূলত তার ওই ঘোষণার প্রতিবাদে বিক্ষোভ শুরু করে সাধারণ মানুষ।

প্রধানমন্ত্রী রিয়াকোস মিটসোটাকিস বলেন, করোনার কারণে আমরা মহাবিপদে। এই বিপদ থেকে উত্তরণের একমাত্র পথ ভ্যাকসিন। তা নাহলে সবকিছু বন্ধ করে দিতে হবে। অর্থনীতি চাঙা করতে সবকিছু খুলে দিতে হবে। সবার সুরক্ষায় ভ্যাকসিন কার্যক্রমের গাতি বাড়ানো হবে।

ভ্যাকসিন কার্যক্রমে গতি বাড়াতে কঠোর অবস্থানে গ্রিস। টিকা গ্রহণে অনীহা প্রকাশ করায় এরই মধ্যে ৬ হাজার সম্মুখসারির স্বাস্থ্যকর্মীকে দায়িত্ব অব্যাহতি দিয়েছে সরকার। এ ছাড়া সরকারি চাকরিজীবিদের ভ্যাকসিন গ্রহণ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। প্রায় ছয় কোটি জনসংখ্যা এ দেশটিতে এরই মধ্যে ৫৫ শতাংশ মানুষকে দ্বিতীয় ডোজ ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। আরও প্রথম ডোজ ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছে ৫৯ শতাংশ।