ঘৌতায় ‘রাসায়নিক’ হামলা, নিহত ৭০

ঘৌতায় ‘রাসায়নিক’ হামলা, নিহত ৭০

ঢাকা, ৮ এপ্রিল (জাস্ট নিউজ) : সিরিয়ার পূর্ব ঘৌতা অঞ্চলের দৌমা শহরে সরকারি বাহিনীর হামলায় কমপক্ষে ৭০ জন নিহত হয়েছে। স্থানীয় সময় শনিবার চালানো ওই হামলাটিতে রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করা হয় বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

সিরিয়াভিত্তিক স্বেচ্ছাসেবক উদ্ধারকারী দল হোয়াইট হেলমেট হামলার বিষয়টি জানিয়েছে। তবে কোনো নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম টুইটারে শনিবারের হামলার করেকটি ছবি পোস্ট করে হোয়াইট হেলমেট। সেখানে একটি বাড়ির বেসমেন্টে কয়েকটি লাশ পড়ে থাকতে দেখা যায়। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে স্বেচ্ছাসেবক দলটি।

সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়, কোনো ধরনের রাসায়নিক হামলার ঘটনা ‘ভুয়া’ খবর ছাড়া কিছু নয় বলে জানিয়েছে সিরিয়া সরকার।

হামলার বিষয়ে বিবৃতি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রও। ঘটনাটিকে ‘খুবই বিরক্তিকর’ উল্লেখ করে তারা জানিয়েছে, এই রাসায়নিক হামলার জন্য সিরিয়া সরকারের সহযোগী রাশিয়াকে দায়ি থাকতে হবে।


যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, কমপক্ষে ৪০ জন নিহত হয়েছে বলে ধারণা তাদের। এ সংখ্যা বাড়তে পারে।

হামলার বর্ণনা দয়ে ঘৌতার একটি গণমাধ্যম জানায়, শনিবার একটি হেলিকপ্টার থেকে ব্যারেল বোম ছোড়া হয়। সেটিতে ‘সারিন’ নামের একটি রাসায়নিক পদার্থ ছিল। সেটির প্রভাবে শহরের বাসিন্দাদের শ্বাসরোধ হয়ে আসে। তাতেই মৃত্যু হয় ৭৫ জনের বেশি বাসিন্দার।

সিরিয়া এককভাবে কোনো গোষ্ঠী, সরকার বা দলের নিয়ন্ত্রণে নেই। দেশটির উত্তরাঞ্চল রয়েছে পিকেকে, ওয়াইপিজি ও এসডিএফ-এর মতো বিভিন্ন কুর্দি বিদ্রোহী গোষ্ঠীর দখলে। দক্ষিণাঞ্চল শাসন করছে সিরিয়া সরকারের বর্তমান প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ। এছাড়া ছড়িয়ে-ছিটিয়ে কিছু অঞ্চল দখল করে রেখেছে কয়েকটি বিদ্রোহী দল ও ইসলামিক স্টেট (আইএস)। এমনই বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত একটি অঞ্চল পূর্ব ঘৌতা।

৪০ হাজার বাসিন্দার এই অঞ্চলটি ২০১৩ সাল থেকে অবরোধ করে রেখেছিল সিরিয়ার সরকারি বাহিনী। কারণ আসাদ নিয়ন্ত্রিত রাজধানী দামেস্কের কাছেই বিদ্রোহীদের পূর্ব ঘৌতা সরকারের জন্য হুমকি। এ অবস্থায় গত মাসে সেখানে হামলা চালায় সরকারি বাহিনী। সেগুলোর মধ্যে বেশ কয়েকটিতে রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করা হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে।

(জাস্ট নিউজ/জেআর/৯৩০ঘ.)