জি-২০ সম্মেলনে গুরুত্ব পাচ্ছে জলবায়ু-অর্থনীতি-করোনা

জি-২০ সম্মেলনে গুরুত্ব পাচ্ছে জলবায়ু-অর্থনীতি-করোনা

ইতালির রোমে দুই দিনব্যাপী জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন শুরু হয়েছে। সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন বিশ্বনেতারা। এবারের আলোচনায় জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব, বৈশ্বিক অর্থনীতি পুনরুদ্ধার ও করোনাভাইরাস ঠেকাতে করণীয় ইস্যুগুলো গুরুত্ব পাচ্ছে।

করোনা মহামারি শুরুর পর প্রথমবারের মতো স্থানীয় সময় শনিবার ( ৩০ অক্টোবর) বিশ্ব নেতাদের অনেকেই সম্মেলনে সশরীরে অংশ নিয়েছেন।

তবে এই সম্মেলনে সশরীরে অংশ নিচ্ছেন না চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তারা ভিডিও লিংকের মাধ্যমে অন্যান্য বিশ্বনেতাদের সঙ্গে সম্মেলনে যোগ দেবেন।

আগামী সোমবার ( ১ নভেম্বর) স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে ২৬তম জলবায়ু সম্মেলনে মিলিত হবেন বিশ্ব নেতারা। ২০৩০ সালের মধ্যে কোন দেশ কার্বন নির্গমন কতটা কমাবে, সেই পরিকল্পনা সেখানে তুলে ধরার কথা রয়েছে। সে কারণে এক ধরনের চাপ তৈরি হয়েছে কাবন নিঃসরণকারী দেশগুলোর ওপর।

গ্লাসগো সম্মেলনের আগেই জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেস স্থানীয় সময় শুক্রবার ( ২৯ অক্টোবর) জি-২০ নেতাদের সতর্ক করে বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তন রোধে কপ২৬ সম্মেলনে বিশ্ব নেতাদের একমত হওয়ার কোনো বিকল্প নেই।

তিনি আরও বলেন, আমরা এখনও সময় উপযোগী অবস্থানে রয়েছি এবং আমি মনে করি, জি-২০ সম্মেলনে আলোচনা করাটা বড় সুযোগ।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এরই মধ্যে ইতালিতে পৌঁছে গেছেন। ফলে রোমজুড়ে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে শুরু হওয়া কপ২৬ সম্মেলনকে প্যারিস চুক্তি-পরবর্তী সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জলবায়ু সম্মেলন হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। এতে নতুন ঘোষণা দিতে পারেন বাইডেন।

বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র যে পরিমাণ কার্বন নিঃসরণ করছে, চীন বাতাসে ছড়াচ্ছে তার দ্বিগুণ গ্যাস। তবে ঐতিহাসিকভাবে বিশ্বের যে কোনো দেশের চেয়ে বেশি গ্যাস নিঃসরণ করছে যুক্তরাষ্ট্র। ২০৬০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণের টার্গেট পূরণে কপ২৬-এ জলবায়ু নিয়ে নিজেদের পরিকল্পনা পেশ করবে বেইজিং।

রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এক খসড়ায় জি-২০ নেতারা তাপমাত্রা এক দশমিক পাঁচের মধ্যে রাখার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন।