৮৫ মিনিটের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা পাওয়া প্রথম নারী কমালা হ্যারিস!

৮৫ মিনিটের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা পাওয়া প্রথম নারী কমালা হ্যারিস!

যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে নারী হিসেবে প্রথমবারের মতো প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা পেয়েছিলেন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমালা হ্যারিস। তবে এই সময়টা ছিল সংক্ষিপ্ত। মাত্র ৮৫ মিনিটের জন্য তিনি প্রেসিডেন্টের দায়িত্বে ছিলেন শুক্রবার। কারণ, এ সময়ে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন নিয়মিত কোলনস্কপি পরীক্ষা করাচ্ছিলেন। অচেতন করে তার এই পরীক্ষা করাতে হয়েছে। ফলে প্রেসিডেন্টের ক্ষমতায় ছিলেন কমালা হ্যারিস। কোলনস্কপি একটি জটিল প্রক্রিয়া। এ পরীক্ষার পর জো বাইডেনের চিকিৎসক বিবৃতি দিয়েছেন।

তিনি বলেছেন, প্রেসিডেন্ট সুস্থ আছেন।

তিনি দায়িত্ব পালনে সক্ষম। জো বাইডেনের ৭৯তম জন্মদিনের প্রাক্কালে তার এই মেডিকেল পরীক্ষা করা হলো। এ সময়ে হোয়াইট হাউজের ওয়েস্ট উইংয়ে নিজের অফিস থেকে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করেন কমালা হ্যারিস। উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে তিনিই প্রথম নারী ভাইস প্রেসিডেন্ট। প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ-দক্ষিণ এশিয়ান আমেরিকান ভাইস প্রেসিডেন্ট।

অনেকেই কমালা হ্যারিসকে আগামী দিনে যুক্তরাষ্ট্রের ভবিষ্যত প্রেসিডেন্ট হিসেবে দেখছেন। তবে তিনি নিজে এ নিয়ে কোনো কথা বলেননি এখনও। বিস্ময়করভাবে উত্থান হওয়া কমালা হ্যারিস এরই মধ্যে সেই সর্বোচ্চ ক্ষমতা স্পর্শ করেছেন- সেই ৮৫ মিনিটের জন্য। অস্থায়ী ভিত্তিতে এমন পরিস্থিতিতে ক্ষমতা হস্তান্তর অনাকাঙ্খিত নয় বলে মন্তব্য করেছেন হোয়াইট হাউজের প্রেস সেক্রেটারি জেন পসাকি। তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানে রচিত প্রক্রিয়ার অধীনে কমালা হ্যারিসকে ওই ক্ষমতা দেয়া হয়েছিল। জেন পসাকি বিবৃতিতে বলেন, একই রকম প্রক্রিয়া ২০০২ এবং ২০০৭ সালে চর্চা করেছিলেন সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ।

মেডিকেল পরীক্ষার পরে হোয়াইট হাউজে ফিরেছেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। এ সময় তাকে হাস্যোজ্বল দেখায়। তিনি বলেন, বেশ সুস্থ বোধ করছি। এর পরই তার চিকিৎসক কেভিন ও’কনর বলেন, ৭৮ বছর বয়সী প্রেসিডেন্ট সুস্থ, সবল আছেন। তিনি প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালনে যথেষ্ট সক্ষম। তিনি আরো বলেছেন, কোলনস্কপি করার সময় ছোট ছোট কিছু পলিপ দেখা গিয়েছিল। তা সহজেই অপসারণ করা হয়েছে। তিনি আরো বলেছেন, আগের তুলনায় প্রেসিডেন্টের শরীরে তরল কম দেখা গেছে। এ জন্য তার মেরুদণ্ডে ব্যথা অনুভূত হয়।

যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি বয়সে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নিয়েছেন বাইডেন। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে তার পূর্ণাঙ্গ মেডিকেল চেকআপ করা হয়েছিল। ওই সময় তার চিকিৎসক তাকে সুস্থ বলে বর্ণনা করেন।