গণতন্ত্র সম্মেলন

বিশ্বব্যাপী আশঙ্কাজনক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি গণতন্ত্র: বাইডেন

বিশ্বব্যাপী আশঙ্কাজনক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি গণতন্ত্র: বাইডেন

বিশ্বব্যাপী গণতন্ত্র আশঙ্কাজনক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়ে পড়েছে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বৃহস্পতিবার গণতন্ত্র সম্মেলনের শুরুর দিনে দেয়া বক্তৃতায় এ আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।

বাইডেন প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেবার পর তার প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে শতাধিক দেশের অংশগ্রহণে বিশ্বে প্রথমবারের মতো এ ধরনের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

করোনাভাইরাসের কারণে ভার্চুয়ালি আয়োজিত এই সম্মেলনে সভাপতিত্ব করছেন বাইডেন।সম্মেলনের উদ্দেশ্য হল বিশ্বজুড়ে গণতন্ত্রের পিছিয়ে পড়া, মানবাধিকার ও স্বাধীনতা অবক্ষয় ঠেকানো।

বাইডেন প্রশাসনের আয়োজিত এই সম্মেলনে শতাধিক দেশকে আমন্ত্রণ জানালেও তালিকায় নাম ছিলনা বাংলাদেশের। এছাড়া বাদ পড়েছে অন্য দুই পরাশক্তি রাশিয়া এবং চীন। সেদিকে ইঙ্গিত করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেন, "যেসকল নমুনা আমরা দেখতে পাচ্ছি, সেগুলোই বলে দিচ্ছে গণতন্ত্র ভুল পথে হাঁটছে। অতীতের যেকোন সময়ের তুলনায় গণতন্ত্রের এখন প্রয়োজন সেরা নেতৃত্বের।"

বিশ্ব এখন একটি টার্নিং পয়েন্টে এসে দাঁড়িয়েছে বলে বাইডেন তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন।

মানবাধিকার এবং গণতন্ত্রের ধারবাহিক এই অধপতনকে আমরা কী এমনি এমনি চলতে দিতে পারি? বলে প্রশ্ন রাখেন গণতন্ত্র সম্মেলনের সভাপতি বাইডেন।

বেসামরিক নিরাপত্তা, গণতন্ত্র এবং মানবাধিকারবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি অব স্টেট উজরা জেয়া বলেছেন, "কোনো ভুল করবেন না, আমরা গণতান্ত্রিক হিসাবের একটি মুহূর্তে আছি। এটা কোনো গোপন বিষয় নয় যে বিশ্বব্যাপী গণতন্ত্র নতুন এবং অভিনব হুমকি থেকে ক্রমবর্ধমান চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে। কার্যত বিশ্বের প্রতিটি অঞ্চলের দেশগুলো গণতন্ত্র থেকে পিছিয়ে পড়ছে।"

শুক্রবারও গণতন্ত্র সম্মেলন চলবে। এতে বিভিন্ন দেশের সরকারপ্রধানেরা ছাড়াও বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধি, ব্যবসায়ী, দাতব্য সংগঠনের কর্মকর্তারাও যুক্ত হয়েছেন।

বাইডেনের চোখে স্বৈরাচার শিবিরের চ্যাম্পিয়ন তালিকায় রয়েছে চীন ও রাশিয়া। তারা এ তালিকা থেকে বাদ পড়ার প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে গত মাসের এক যৌথ বিবৃতিতে।

বিবৃতিতে রাশিয়া ও চীনের পক্ষ থেকে বলা হয়, "বিশ্বের বিশাল এবং বৈচিত্র্যময় রাজনীতির দেশকে একক মাপকাঠিতে বিচার করার অধিকার কোনো দেশের নেই।"