নিষেধাজ্ঞার জবাবে যুক্তরাষ্ট্রকে পাল্টা হুমকি চীনের

নিষেধাজ্ঞার জবাবে যুক্তরাষ্ট্রকে পাল্টা হুমকি চীনের

১৫ই নভেম্বর ভার্চ্যুয়াল সাক্ষাত হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের মধ্যে। তখন মনে করা হয়েছিল, সম্পর্কের বরফ গলে যাচ্ছে। নতুন এক যুগের সূচনা হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র-চীনের মধ্যে। কিন্তু সে অবস্থা যেন সহসা উল্টে গেছে। যুক্তরাষ্ট্র মানবাধিকার ইস্যুতে চীনের কর্মকর্তাদের এবং কিছু প্রতিষ্ঠান যেমন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিষয়ক কোম্পানি সেন্সটাইমের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। শীতকালীন বেইজিং অলিম্পিক কূটনৈতিকভাবে বর্জন করছে যুক্তরাষ্ট্র। তাদের পথে হাঁটছে বৃটেন, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, জাপান। এসবের জবাবে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছে চীন।

সোমবার সংবাদ সম্মেলনে চীন বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে তারা ‘বেপরোয়া’ (রেকলেস) অবরোধ দিতে পারে। সতর্ক করেছে এই বলে যে, যেকোনো রকম বেপরোয়া অ্যাকশনের পাল্টা জবাব দেবে চীন। একই সঙ্গে মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য যেসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অবরোধ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, তা প্রত্যাহারের আহ্বান জানানো হয়েছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন আল জাজিরা।

উল্লেখ্য, গত শুক্রবার চীনের বেশ কিছু কর্মকর্তা ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। একই দিনে বাংলাদেশ, মিয়ানমার ও উত্তর কোরিয়ার বিভিন্ন কর্মকর্তা ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধেও নিষেধাজ্ঞা দেয় তারা। যুক্তরাষ্ট্রের দেয়া এমন নিষেধাজ্ঞাকে ‘বিকৃত কর্ম’ বলে এর নিন্দা জানিয়েছেন চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন। তিনি বলেন, ‘অবিলম্বে যুক্তরাষ্ট্রকে আমরা এই ভুল সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করার আহ্বান জানাই। বন্ধ করুন চীনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ এবং চীনের স্বার্থ ক্ষতিগ্রস্ত করা। যুক্তরাষ্ট্র যদি বেপরোয়া কর্মকাণ্ড চালায়, তাহলে পাল্টা কার্যকর ব্যবস্থা চীনও নেবে’।

সংবাদ সম্মেলনে ওয়াং ওয়েনবিন বলেন, জাতীয় সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা এবং উন্নয়ন স্বার্থ রক্ষায় সংকল্পে অটল বেইজিং। এ সময় তিনি সিনজিয়াং প্রদেশে সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায় ইস্যুতে চীনা নীতির পক্ষে কথা বলেন। জানান, তাদের বিরুদ্ধে যে কর্মসূচি নেয়া হয়েছে তা সহিংসতা, সন্ত্রাস, বিচ্ছিন্নতাবাদ এবং দর্শীয় উগ্রপন্থাকে মোকাবিলার জন্য। যুক্তরাষ্ট্রের বিকৃত পদক্ষেপ সিনজিয়াংয়ের উন্নয়নধারা ধ্বংস করতে পারবে না। বন্ধ করতে পারবে না চীনের সমৃদ্ধিকে। পাল্টে দিতে পারবে না ঐতিহাসিক উন্নয়ন ধারাকে।

এমজে//