মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে ৩ দেশের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের পদক্ষেপ

মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে ৩ দেশের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের পদক্ষেপ

মানবাধিকার লঙ্ঘন ও সাম্প্রতিক সামরিক অভ্যুত্থানের কারণে আফ্রিকার দেশ ইথিওপিয়া, মালি ও গিনির শুল্কমুক্ত বাণিজ্য সুবিধা বাতিল করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

শনিবার এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেড রিপ্রেজেন্টেটিভ (ইউএসটিআর ) বলেন, তিনটি দেশকে আফ্রিকান গ্রোথ অ্যান্ড অপারচুনিটি (এজিওএ) থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। দেশগুলো এজিওএ-এর সংবিধি লঙ্ঘন করার কারণে তাদের বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়। খবর আলজাজিরার।

ইউএসটিআর জানায়, ইথিওপিয়ায় মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। এ ছাড়া গিনি ও মালিতে অসাংবিধানিক পন্থায় সরকার পরিবর্তনের বিষয়েও উদ্বিগ্ন ওয়াশিংটন।

তবে এ বিষয়ে আফ্রিকার ওই তিন দেশে থাকা যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসগুলোর পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

ইউএসটিআর বিবৃতিতে জানায়, ইথিওপিয়া, মালি ও গিনি যদি আইনের বিধান পূরণ করে তবে তারা পুনরায় এ চুক্তিতে যোগ দিতে পারবে।

এজিওএ বাণিজ্য আইন সাব-সাহারা অঞ্চলের দেশগুলোকে যুক্তরাষ্ট্রে শুল্কমুক্ত বাণিজ্য সুবিধা দেয়ে। তবে এক্ষেত্রে তাদের নির্দিষ্ট যোগ্যতা অর্জন করতে হয়। এর মধ্যে অন্যতম হলো— যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বাধা দূর করা এবং রাজনৈতিক বহুত্ববাদের দিকে দেশগুলোর অগ্রগতি।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন নভেম্বরে বলেছিলেন, ইথিওপিয়ার উত্তর অংশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে দেশটিকে এজিওএ-এর আওতায় দেওয়া শুল্কমুক্ত বাণিজ্য সুবিধা বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে।

২০২০ সালের নভেম্বর থেকে ইথিওপিয়ার তাইগ্রে অঞ্চলে সংঘাত বেড়েই চলেছে। ওই অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দেশটির প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ ও তাইগ্রের নেতাদের মধ্যে মূলত এ সংঘাত।

এ ১৩ মাসে ইথিওপিয়ায় কয়েক হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। দুর্ভিক্ষের কবলে পড়েছেন ৪ লাখের মতো মানুষ। সংঘাতের কারণে অস্থিতিশীল হয়ে পড়েছে ওই অঞ্চল।

২০০০ সালের মে মাসে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে এজিওএ পাস হয়। ২০২০ সাল পর্যন্ত এজিওএ-এর আওতাভুক্ত ছিল ৩৮টি দেশ।