ইউক্রেনে ৯০ টন অস্ত্র পাঠালো যুক্তরাষ্ট্র

ইউক্রেনে ৯০ টন অস্ত্র পাঠালো যুক্তরাষ্ট্র

সীমান্তে রাশিয়ার সৈন্য সমাগমে সৃষ্ট উত্তেজনাকর পরিস্থিতির মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সহায়তার প্রথম চালান ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে পৌঁছেছে। এই সামরিক সহায়তার প্যাকেজটি গত ডিসেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন অনুমোদন করেছিলেন। ২০০ মিলিয়ান মার্কিন ডলার মূল্যের ওই সামরিক সহায়তার অংশ বিশেষ শনিবার পাঠানো হয়েছে।

কিয়েভস্থ যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস বলেছে, ‘সম্মুখ সারির রক্ষকদের’ জন্য গোলাবারুদসহ ৯০ টন ‘প্রাণঘাতী সহায়তা’ এসেছে। সামরিক সহায়তার এই চালান ‘ইউক্রেনের আত্মরক্ষার সার্বভৌম অধিকারের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের দৃঢ় অঙ্গীকার‘ প্রমাণ করে। রাশিয়ান আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব এবং ভৌগলিক অখণ্ডতা রক্ষার্থে দেশটির বিমান বাহিনীর চলমান প্রচেষ্টায় যুক্তরাষ্ট্রের এমন সাহায্য অব্যাহত থাকবে। খবর বিবিসি অনলাইনের।

চলতি সপ্তাহে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিনকেনের কিয়েভ সফরের পরই এই চালান এলো। কিয়েভ সফরের সময় ব্লিনকেন রাশিয়ার প্রতি হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, রাশিয়া যদি ইউক্রেন আক্রমণ করে তবে তার কঠোর জবাব দেওয়া হবে। তবে কিয়েভ আক্রমণের কোনো পরিকল্পনা রাশিয়ার আছে, বিষয়টি মস্কো অস্বীকার করেছে।

এদিকে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওলেক্সি রেজনিকভ এই সহায়তার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য, রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে বসার এক ঘণ্টা পরই এই চালান ইউক্রেনে পৌঁছাল। ইউক্রেনে বড় ধরনের সংঘাতের আশঙ্কা কমাতে দেশ দুটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওই বৈঠককে ‘খোলামেলা’ আলোচনা হিসেবে অভিহিত করেছেন।