প্রবল তুষারঝড় ও বন্যায় বিপর্যস্ত যুক্তরাষ্ট্র

প্রবল তুষারঝড় ও বন্যায় বিপর্যস্ত যুক্তরাষ্ট্র

দমকা বাতাসসহ প্রচণ্ড শক্তির পূর্বাঞ্চলীয় ঝড় শনিবার (২৯ জানুয়ারি) পূর্ব উপকূলে আঘাত হানে। উড়ন্ত ভারী তুষার ভ্রমণকে করে তোলে অসম্ভব ও বিপদসংকুল। উপকূলজুড়ে দেখা দেয় বন্যা এবং ঠাণ্ডা আবহাওয়ার কারণে সৃষ্টি হয় প্রবল ঝুঁকি।

এই ঝড় যুক্তরাষ্ট্রের ১০টি রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় আঘাত হানে এবং ভারী তুষার ঝড়ের হুঁশিয়ারি দেয়া হয় ভার্জিনিয়া থেকে মেইন পর্যন্ত। ফিলাডেলফিয়া ও নিউইয়র্কে ব্যাপক বাতাস ও তুষার অনুভূত হয়েছে। তবে বোস্টন ছিল মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দু।

শহরটিতে রোববার ভোরের দিকে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া ভালো না হওয়া পর্যন্ত ৬১ সেন্টিমিটারের বেশি তুষার পড়বে বলে আশঙ্কা করা হয়।

ম্যাসাচুসেটসের কেপ কোডে দমকা হাওয়ার গতির তীব্রতা ছিল ঘণ্টায় ১৩৪ কিলোমিটার। নিউইয়র্কের লং আইল্যান্ড এলাকার বিভিন্ন অঞ্চলে ৪৫ সেন্টিমিটারের বেশি তুষারপাত হয় এবং নিউ জার্সির বেভিলে ৪৮ সেন্টিমিটার তুষারপাত রেকর্ড করা হয়।

পূর্বাভাসবারীরা নতুন তুষারপাতের রেকর্ডের প্রতি গভীরভাবে নজর রাখছেন, বিশেষ করে বোস্টনে। যেখানে শনিবারের পর সবচেয়ে ভারী তুষারপাত প্রত্যাশিত ছিল।

নিউইয়র্ক ও ফিলাডেলফিয়া সর্বকালের রেকর্ড স্থাপন করা থেকে দূরে ছিল। কিন্তু তারপরও নিউইয়র্কের সেন্ট্রাল পার্ক ও ফিলাডেলফিয়া বিমানবন্দরে কমপক্ষে ১৯ সেন্টিমিটারের মতো উল্লেখযোগ্য তুষারপাত দেখা গেছে।

ফ্লাইটঅ্যাওয়্যারের খবর অনুযায়ী নিউইয়র্ক, বোস্টন ও ফিলাডেলফিয়াগামী বহু ফ্লাইট শনিবার বাতিল করা হয়। গোটা যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে চার হাজার পাঁচ শ’র বেশি উড়ান বাতিল করা হয়েছে। যদিও উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় বিমানবন্দরগুলো ঝড়ের আশা করলেও ব্যাপক কোনো বিভ্রাটের খবর দেয়নি এবং তারপরও অনেক বিমান সংস্থা আগাম ফ্লাইট বাতিল করে দেয়।

আবহাওয়াবিষয়ক গবেষকেরা জানাচ্ছেন, জলবায়ু পরিবর্তন, বিশেষত সাগরের উষ্ণতা সম্ভবত ঝড়ের তীব্রতাকে প্রভাবিত করেছে।

এদিকে ওয়াশিংটন ও বাল্টিমোরে কিছুটা তুষারপাত হয়েছে। তবে অনেকাংশেই তা থেকে রক্ষা পেয়েছে। ভয়ঙ্কর পূর্বাঞ্চলীয় একটি ঝড় রোববার সকাল নাগাদ শুরু হওয়ার কথা, যেটি কানাডা পর্যন্ত বিস্তৃত থাকবে। সেখানে ইতোমধ্যেই বহু প্রদেশে হুঁশিয়ারি জারি করে হয়েছে।

এমজে/