পালিয়ে আসা ১২ শরণার্থী মারা গেলেন ঠাণ্ডায়

পালিয়ে আসা ১২ শরণার্থী মারা গেলেন ঠাণ্ডায়

প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় খোলা আকাশে নিচে পাতলা জামা জড়িয়ে কাঁপছিলেন শরণার্থীরা। কারও শরীরে সেই পোশাকটুকুও ছিল না, পায়ে নেই জুতা। এভাবে শীতে পালিয়ে আসা ১২ জন শরণার্থী মারা গেছেন।

নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, গ্রিসের সীমান্তঘেঁষা তুরস্কের এডির্না প্রদেশের ইপসালা গ্রামে ঘটেছে এমন ঘটনা। ১২ শরণার্থীর মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন তুরস্কের অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী সুলেমান সোয়লু।

সুলেমান সোয়লু বলেন, গ্রিসের সীমান্তঘেঁষা ইপসালা গ্রামে ২২ জন শরণার্থী দলের ১২ জনের মরদেহ পাওয়া গেছে। তাদের পোশাক, জুতা কেড়ে নিয়ে তাড়িয়ে দিয়েছিল গ্রিসের সীমান্তরক্ষীরা। ইউরোপীয় ইউনিয়ন সত্যিই দুর্বল, মানবকিতাহীন। তাদের কাছে কোনো সুরাহা নেই। ওরা শরণার্থীদের খুন করেছে।

শরণার্থীদের ঠাঁই না দিলেও তুরস্কের মোস্ট ওয়ান্টেড ‘ফেটো’ অপরাধীদের গ্রিস আশ্রয় দিয়েছে বলে অভিযোগ আঙ্কারার। ২০১৬ সালে তুরস্কে ব্যর্থ হয়ে যাওয়া সামরিক অভ্যুত্থানের মূলে ছিল এই ফেটো বাহিনী।

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েপ এরদোগান বলেছেন, প্রাণ বাঁচাতে বহু মানুষ আমাদের দেশে আশ্রয় নিতে চান। ইউরোপের এমন কোনো সঙ্কট নেই। তবু আমরা এভাবে শরণার্থীদের ছুড়ে ফেলতে পারি না।

প্রসঙ্গত, যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়াসহ মধ্য এশিয়ার শরণার্থী সঙ্কট এখনো প্রকট। তুরস্কে এখন পর্যন্ত প্রায় ৩৭ লাখ সিরিয়ার শরণার্থী আশ্রয় নিয়েছেন।

এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্তঘেঁষা কানাডায় একই পরিবারের চার ভারতীয়ের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ঠাণ্ডায় জমে তারা মারা যান। তুষারে ঢাকা সীমান্ত দিয়ে তাদের অনুপ্রবেশ করানোর চেষ্টা করছিল পাচারকারীরা।

এমজে/