ক্ষমতা নিজেদের হাতে তুলে নিন: ইউক্রেন আর্মিকে পুতিন

ক্ষমতা নিজেদের হাতে তুলে নিন: ইউক্রেন আর্মিকে পুতিন

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন রুশ নিরাপত্তা পরিষদে ভাষণ দিচ্ছেন- যেখানে তিনি পরোক্ষভাবে ইউক্রেন সামরিক বাহিনীকে উদ্দেশ্য করে বক্তব্য দিচ্ছেন।

তিনি তার ভাষণে ইউক্রেন সরকার এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে ব্যঙ্গবিদ্রূপ করে তাদের “নব্য-নাৎসী” এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে রুশ বিরোধী বাহিনী “ব্যান্ডেরাইট” বলে উল্লেখ করেন এবং বলেন: “তারা সন্ত্রাসীদের মত আচরণ করছে। রাশিয়া, শান্তিকামী জনগণকে হত্যা করছে এমন অভিযোগ করে তারা এই সাধারণ মানুষকে ঢাল হিসাবে তুলে ধরে নিজেদের আচরণ ঢেকে রাখছে।

“এটা সুনিশ্চিত যে বিদেশী পরামর্শদাতাদের সুপারিশে তারা এসব কিছু করছে। সবার উপরে তাদের পরামর্শ দিচ্ছে আমেরিকা।”

এরপর ইউক্রেন সেনাবাহিনীর উদ্দেশ্যে তিনি কথা বলেছেন।

“ইউক্রেনের সশস্ত্র সেনাদের উদ্দেশ্যে আমি আবার বলতে চাই: এই নব্য নাৎসীদের আপনাদের শিশু, আপনাদের স্ত্রী, আপনাদের বৃদ্ধ মানুষদের মানব-ঢাল হিসাবে ব্যবহার করতে দেবেন না।

“নিজেদের হাতে ক্ষমতা তুলে নিন। কিয়েভের ওই মাসকাসক্ত এবং নব্য নাৎসী দলের সাথে কথা বলার চেয়ে আমরা এবং আপনারা কথা বললে একটা চুক্তিতে পৌঁছন অনেক সহজ হবে।”

রাশিয়া ইউক্রেনের সাথে আলোচনায় বসতে রাজি ‘নিরপেক্ষতার’ শর্তে

রুশ সংবাদ সংস্থা আরআইএ নভোস্তি খবর দিচ্ছে যে, ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন রাশিয়া, বেলারুসের রাজধানী মিনস্কে ইউক্রেনের সঙ্গে আলোচনা বসতে রাজি আছে।

তবে তিনি বলেছেন তার আগে ইউক্রেনকে একটা “নিরপেক্ষ অবস্থান” ঘোষণা করতে হবে – যার অন্তর্ভুক্ত থাকবে “বেসামরিকীকরণ”। রাশিয়া বরাবরই বলে আসছে তারা চায় না, ইউক্রেন কখনই নেটোতে যোগদান করে।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সাথে আলোচনার আহ্বান জানিয়েছেন, কিন্তু রাশিয়ার শর্তে তিনি আলোচনায় বসতে সম্মত হবেন কিনা সে বিষয়ে কোন ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি।

আলোচনার ভেন্যু হিসাবে মিনস্ক গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ২০১৪ সালে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চল নিয়ে সংঘাত অবসানের চেষ্টায় এই মিনস্কেই একটা চুক্তি সই হয়েছিল।

ইউক্রেন আক্রমণের মধ্যে দিয়ে রুশ নেতা সেই চুক্তিপত্র কার্যত ছিঁড়ে ফেলে দিয়েছেন।

এর আগে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ বলেন, ইউক্রেনের সৈন্যরা যতক্ষণ না অস্ত্র নামিয়ে নিচ্ছে, ততক্ষণ কোনরকম আলোচনা হবে না।