শান্তি সংলাপের আহ্বান চীনের প্রেসিডেন্টের

শান্তি সংলাপের আহ্বান চীনের প্রেসিডেন্টের

শান্তি সংলাপের আহ্বান জানিয়েছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। ইউক্রেন পরিস্থিতিকে তিনি উদ্বেগজনক আখ্যায়িত করে সবাইকে সর্বোচ্চ সংযমের আহ্বান জানিয়েছেন। অন্যদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি সমালোচনার জবাবে বলেছেন, আমি ভীত নই। আত্মগোপনেও যাইনি।

জাতিসংঘ বলেছে, এ পর্যন্ত ইউক্রেনে কমপক্ষে ১২০৭ জন বেসামরিক মানুষ হতাহত হয়েছেন। মানবাধিকার বিষয়ক জাতিসংঘের হাই কমিশনারের মুখপাত্র লিজ থ্রোসেল বলেছেন, এর মধ্যে কমপক্ষে ৪০৬ জনকে হত্যা করা হয়েছে। আহত হয়েছেন ৮০১ জন। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলেছে, ইরপিনে যুদ্ধ বিষয়ক আইন লঙ্ঘন করে থাকতে পারে রাশিয়া।

তারা মারিউপোলে উদ্ধারের রুটে হামলা চালিয়েছে। ওদিকে মাত্র ১১ বছর বয়সী একটি বালক নিরাপত্তা খুঁজে একা একা পাড়ি দিয়েছে ১২০০ কিলোমিটার পথ। ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনে এক ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। মানুষ খাদ্য, পানি, বিদ্যুতের অভাবে মরতে বসেছে। যুদ্ধক্ষেত্রের খবর পত্রিকা, মিডিয়ায় এলেও এমন দুর্ভোগে থাকা মানুষদের কথা খুব বেশি পাওয়া যাচ্ছে না। এ অবস্থায় তুরস্ক, ফ্রান্স সহ অনেক দেশই যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে আসছে। পাশাপাশি শান্তি সংলাপের কথা বলছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি নিজেই তো সরাসরি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনের সঙ্গে মুখোমুখি সংলাপ আহ্বান করেছেন। কিন্তু যুদ্ধের উন্মত্ততা যখন পেয়ে বসে, তখন কেউ কারো কথা শোনে না। হয়তো পুতিনেরও সেই অবস্থা হয়েছে।

পরিস্থিতি নিয়ে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রন, জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শুলজের সঙ্গে ভার্চ্যুয়াল বৈঠক করেন শি জিনপিং। এই বৈঠক চীনের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যম সিসিটিভি’তে প্রচারিত হয়েছে। এতে শি জিনপিং বলেন, ইউক্রেন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়া বন্ধ করতে আগেভাগেই ব্যবস্থা নেয়া দরকার। এই তিনটি দেশ যৌথভাবে রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে শান্তি সংলাপে সমর্থন করে বলেও তিনি দাবি করেন। বর্তমানে ঘনিষ্ঠ কূটনৈতিক সম্পর্ক বিদ্যমান চীন ও রাশিয়ার মধ্যে।

ইউক্রেনে আগ্রাসন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে- এ কথা বুঝতে পেরেছেন শি জিনপিং। কিন্তু এই আগ্রাসনের নিন্দা জানাননি। অন্যদিকে আগ্রাসনের নিন্দা জানিয়ে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে ভোট দেয়া থেকে বিরত ছিল চীন। অন্যদিকে চীন কিন্তু আরেক সঙ্কট সৃষ্টি করেছে। তারা সার্বভৌম তাইওয়ান দ্বীপরাষ্ট্রকে নিজেদের অখ- ভূমি বলে দাবি করেছে। বলেছে, তাইওয়ান তাদের নিজেদের ভূখ-। ফলে অনেকে তাইওয়ান ও ইউক্রেনকে একইভাবে তুলনা করার চেষ্টা করেছেন। এর জবাব দিয়েছেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই।