চীনের কাছে সামরিক ও অর্থনৈতিক সাহায্য চেয়েছে রাশিয়া। ফিনান্সিয়াল টাইমস ও নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে এমনটাই জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ইউক্রেনে ব্যবহারের জন্য বেইজিংয়ের কাছে সামরিক রসদ চেয়েছে মস্কো। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মার্কিন কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে ফিনান্সিয়াল টাইমস জানায়, আক্রমণ শুরুর পর থেকেই রাশিয়া চীনের কাছে সরঞ্জাম চেয়ে অনুরোধ করে আসছিল। তবে ঠিক কী ধরণের সরঞ্জাম রাশিয়ার দরকার তা জানাননি কর্মকর্তারা। চীনও রাশিয়াকে সাহায্য করতে পারে বলে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে বলে জানানো হয় ওই রিপোর্টে।
এদিকে পশ্চিমাদের নজিরবিহীন নিষেধাজ্ঞা সামলাতে চীনের কাছে অর্থনৈতিক সহায়তাও চাইছে রাশিয়া। এমনটাই বলছে নিউ ইয়র্ক টাইমস।
যদিও রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতে চীন নিজেকে নিরপেক্ষ হিসাবে তুলে ধরেছে। ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের নিন্দা জানানো থেকেও বিরত ছিল বেইজিং। সোমবার মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভান রোমে চীনা পররাষ্ট্র নীতির শীর্ষ কর্মকর্তা ইয়াং জিচির সাথে আলোচনা করবেন। রোববার এনবিসি’র সাথে আলাপের সময় সুলিভান বলেছিলেন যে, চীন বা অন্য কোন দেশ যাতে রাশিয়াকে তার অর্থনৈতিক ক্ষতির জন্য ক্ষতিপূরণ দিতে না পারে তা নিশ্চিত করবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
রাশিয়া চীনের কাছে সামরিক সাহায্য চেয়েছে বলে সংবাদমাধ্যমে যে প্রতিবেদন এসেছে তা সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয় ওয়াশিংটনে চীনা দূতাবাসের কাছে। দূতাবাসের মুখপাত্র লিউ পেঙ্গু উত্তরে বলেন, ইউক্রেনের যুদ্ধ যাতে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে না যায় তা নিশ্চিত করতে চায় বেইজিং। তিনি ইউক্রেন পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগও জানান। বলেন, এখন সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো সংঘাতময় পরিস্থিতি যাতে না বাড়ে বা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে না যায় তা নিশ্চিত করা। তবে রাশিয়া চীনের কাছে অর্থনৈতিক ও সামরিক সহযোগিতা চেয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এরকম কিছু তিনি শোনেননি। যদিও মার্কিন কর্মকর্তারা হুঁশিয়ারি দিয়েছে, চীন যদি রাশিয়াকে নিষেধাজ্ঞা এড়াতে সহায়তা করার পদক্ষেপ নেয় তবে তার পরিণতি ভোগ করতে হবে।
