গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ, ইউরোপীয় দেশগুলো থেকে কয়েক ডজন রুশ কূটনীতিক বহিষ্কার

গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ, ইউরোপীয় দেশগুলো থেকে কয়েক ডজন রুশ কূটনীতিক বহিষ্কার

গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে কয়েক ডজন রুশ কূটনীতিককে বহিষ্কার করেছে ইউরোপীয় দেশগুলো। ইউক্রেনের চলমান যুদ্ধের প্রেক্ষিতে রাশিয়ার বিরুদ্ধে এটিকে একটি সমন্বিত পদক্ষেপ হিসেবেই মনে করা হচ্ছে। এরমধ্যে নেদারল্যান্ড জানিয়েছে, তারা ১৭ রুশ কূটনীতিককে বহিস্কার করেছে। দেশটির দাবি, এই কর্মকর্তারা কূটনীতিক হিসেবে নিয়োগ পেলেও তারা আসলে ছদ্মবেশী গুপ্তচর। অপরদিকে বেলজিয়াম জানিয়েছে তারা রুশ দূতাবাসের ২১ কর্মকর্তাকে বহিষ্কার করেছে। ইউরোপের আরেক দেশ আয়ারল্যান্ড বহিস্কার করেছে ৪ রুশ কর্মকর্তাকে। দেশটি জানিয়েছে, এই কর্মকর্তাদের কার্যক্রম আন্তর্জাতিক মানদ-ের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হওয়ায় এই ব্যবস্থা নিয়েছে তারা। এদিকে চেক রিপাবলিক এক রুশ কূটনীতিককে ৭২ ঘণ্টা সময় দিয়েছে দেশ ত্যাগের জন্য।

আল-জাজিরার খবরে জানানো হয়েছে, ইউক্রেন ইস্যুতে পশ্চিমাদের সঙ্গে রাশিয়ার রেষারেষির মধ্যেই নতুন করে এই কূটনীতিক বহিস্কারের ঘটনা ঘটছে।

দুই পক্ষের মধ্যেকার সম্পর্ক ইতিহাসের সবথেকে খারাপ অবস্থানে রয়েছে। এর প্রেক্ষিতে প্রথম রুশ কূটনীতিক বহিষ্কার করে পোল্যান্ড। গত সপ্তাহে দেশটি ৪৫ রাশিয়ানকে গুপ্তচর হিসেবে চিহ্নিত করে। দেশটির দাবি, এই গুপ্তচররা তাদের কূটনৈতিক স্ট্যাটাসকে ব্যবহার করে পোল্যান্ডে মিশন পরিচালনা করে চলেছে।

নেদারল্যান্ড জানিয়েছে, মিত্র দেশগুলোর সঙ্গে আলোচনা করেই রুশ কূটনীতিক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। মিত্র দেশ হিসেবে দেশটি যুক্তরাষ্ট্র, পোল্যান্ড, বুলগেরিয়া, স্লোভাকিয়া, এস্তোনিয়া, লাটভিয়া, লিথুয়ানিয়া এবং মন্টিনিগ্রোর কথা উল্লেখ করে। নেদারল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এক বিবৃতিতে বলেন, এই রুশ গ্রুপটি দেশের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে ওঠায় মন্ত্রীসভা তাদের বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তারা রুশ রাষ্ট্রদূতকে ডেকে এই সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছেন বলেও বিবৃতিতে বলেন মন্ত্রী।

ডাচ পররাষ্ট্রমন্ত্রী উপকে হোকস্ত্রা জানান, মস্কোও পাল্টা পদক্ষেপ নেবে, তার জন্য তিনি প্রস্তুত আছেন। তিনি বলেন, অভিজ্ঞতা বলছে যে রাশিয়া কখনো এ ধরণের পদক্ষেপ জবাব না দিয়ে ছেড়ে দেয় না। রাশিয়া অবশ্য এর আগেই ইউরোপের তিন দেশের ১০ কূটনীতিককে বহিষ্কারের ঘোষণা দিয়েছে। সামনে এই সংখ্যা আরও বাড়বে বলেই অনেকটা নিশ্চিত পর্যবেক্ষকরা।

এমজে/