সমগ্র ইউক্রেন চান পুতিন, যুদ্ধ চলবে বহু বছর: ন্যাটো মহাসচিব

সমগ্র ইউক্রেন চান পুতিন, যুদ্ধ চলবে বহু বছর: ন্যাটো মহাসচিব

গোটা ইউক্রেনই দখলে নিতে চান রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ফলে বছরের পর বছর ধরে এই যুদ্ধ চলতে পারে। এমনটাই বললেন সামরিক জোট ন্যাটোর মহাসচিব জেনস স্টল্টেনবার্গ। যদিও গত কয়েক দিনে দেখা গেছে, রুশ সেনারা পূর্ব ইউক্রেনকে টার্গেট করে চারদিক থেকে ঘিরে ধরছে। ইউক্রেনের অন্যান্য শহরগুলো থেকে সেনা প্রত্যাহার করে তা ডনবাস অঞ্চলে মোতায়েন করা হচ্ছে। কিন্তু ন্যাটো প্রধান বলছেন, পুতিন এখনো সমগ্র ইউক্রেন নিয়ন্ত্রণের স্বপ্ন থেকে সরে আসেননি। এ খবর দিয়েছে সিএনএন।

খবরে জানানো হয়, চলমান যুদ্ধ নিয়ে আলোচনা করতে ব্রাসেলসে অনুষ্ঠিত হয়েছে ন্যাটো পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সম্মেলন। এই আলোচনার পূর্বে সাংবাদিকদের কাছে স্টল্টেনবার্গ যুদ্ধ নিয়ে কথা বলেন।

এতে তিনি বলেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধ কয়েক বছর পর্যন্ত চলতে পারে। আমরা এখনো কোনো ইঙ্গিত দেখছি না যে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তার আকাঙ্ক্ষা থেকে সরে এসেছেন। তিনি এখনও সমগ্র ইউক্রেন দখলে নিতে চান। তাই আমাদেরকে এই দীর্ঘ যাত্রার জন্য প্রস্তুত হতে হবে। এরপরই তিনি বলেন, আমাদেরকে বাস্তবিক হতে হবে এবং বুঝতে হবে যে এই যুদ্ধ বহুদিন ধরে চলবে। সেটা কয়েক মাস হতে পারে আবার কয়েক বছরও হতে পারে।

ব্রাসেলসে যেসব বিষয়ে ন্যাটো পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা আলোচনা করেছেন তারমধ্যে সবথেকে বেশি গুরুত্ব পেয়েছে ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা বৃদ্ধির বিষয়টি। দুই দিন ধরে চলমান এই বৈঠকে ইউক্রেনকে কীভাবে আরও সামরিক সরঞ্জাম দেয়া যায় তার উপায় খুঁজে বের করবেন ন্যাটো পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। কিয়েভ প্রথম থেকেই পশ্চিমা মিত্রদের কাছ থেকে ট্যাংক এবং যুদ্ধবিমান চেয়ে আসছে। পশ্চিমা দেশগুলো থেকে গত কয়েক মাসে পাহাড়সম অস্ত্র পেয়েছেও ইউক্রেন। তবে রাশিয়াকে থামাতে তাও যথেষ্ট হচ্ছে না। এ নিয়ে স্টল্টেনবার্গ বলেন, আমরা ইউক্রেনকে কী ধরণের অস্ত্র দিচ্ছি তার বিস্তারিত আমরা প্রকাশ করছি না। তবে আমরা যে সাহায্য করছি তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা যেমন ভারি সমরাস্ত্র দিচ্ছি তেমনি হালকা অস্ত্রও পাঠাচ্ছি ইউক্রেনে।

এই যুদ্ধ ইউরোপের নিরাপত্তার জন্য দীর্ঘমেয়াদি হুমকি সৃষ্টি করবে বলেও সাবধান করেন স্টল্টেনবার্গ। তিনি বলেন, আমরা রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের মনোভাব সম্পর্কে দেখেছি। তিনি তার ইচ্ছা পূরণে কীভাবে সামরিক শক্তি প্রয়োগ করতে পারেন। এই কারণে ইউরোপের নিরাপত্তা সংক্রান্ত সকল বাস্তবতা আগামি বহু বছরের জন্য পাল্টে গেছে।