তেলআবিবে বন্দুক হামলায় ২ ইসরাইলি নিহত

তেলআবিবে বন্দুক হামলায় ২ ইসরাইলি নিহত

ইসরাইলে আবারো বন্দুক হামলায় অন্তত দু’জন নিহত ও আটজন আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে তেল আবিবে বন্দুকধারীর উপর্যুপরি গুলিবর্ষণে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।

গোলাগুলির পর কয়েক ঘণ্টা পার হলেও সন্দেহভাজন বন্দুকধারীকে আটক করতে পারেনি দেশটির আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। শত শত ইসরায়েলি পুলিশ ও সেনাবাহিনীর বিশেষ দল ব্যাপক অভিযান চালিয়েছে। ঘনবসতিপূর্ণ আবাসিক এলাকাগুলোর ভবনেও তল্লাশি চলছে।

তেল আবিবের পুলিশ কর্মবর্তা আমিচাই এশেদ বলেন, বন্দুকধারী রাত ৯টার দিকে একটি জনাকীর্ণ বারে গুলি চালায়। তারপর ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।

তবে হামলাকারী এখনো আশপাশের কোথাও রয়েছে বলে ধারণা করছে পুলিশ।

ইসরাইলের জাতীয় জরুরি বিভাগ ম্যাগেন ডেভিড অ্যাডম জানিয়েছে, তারা তেল আবিব শহরের কেন্দ্রস্থলে ‘বেশ কয়েকটি স্থানে’ গুলি চালানোর খবর পেয়েছে। ডিজেনগফ স্ট্রিটে অন্তত একটি হামলা হয়েছে।

টাইমস অব ইসরাইল জানিয়েছে, আহতদের মধ্যে দু’জন মারা গেছে। ওই হাসপাতালে আরো আটজনের চিকিৎসা চলছে। যাদের মধ্যে চারজনের অবস্থা ‘সঙ্কটজনক’।

তাৎক্ষণিকভাবে গুলি চালানোর কারণ জানা যায়নি। তবে সম্প্রতি ফিলিস্তিনিদের হামলায় ইসরাইলে ১১ জন নিহতের পর উত্তেজনা বেড়েছে।

গত ২২ মার্চ বেয়ার শেভাতে ছুরিকাঘাতে চার ইসরাইলি নিহত হয়। এর পাঁচ দিন পর হাদেরায় বন্দুকধারীর হামলায় দুই সীমান্ত পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হন। ৩০ মার্চ দুই ইসরাইলি, দুই ইউক্রেনীয় নাগরিক ও একজন পুলিশ কর্মকর্তা বেনেই ব্র্যাকে বন্দুকধারীর হামলায় নিহত হয়েছিলেন।

পশ্চিম জেরুজালেম থেকে আল জাজিরার জন হলম্যান বলেছেন, যে এলাকায় গুলি চালানো হয়েছে সেটি বার ও ক্যাফের জন্য বিখ্যাত। স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, সেখানে দু’জন পৃথক বন্দুকধারী ছিল। তারা বিভিন্ন স্থানে এ হামলা চালিয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেটে তেল আবিবের সামরিক সদর দফতর থেকে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন বলে জানায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়।

এদিকে বৃহস্পতিবারের হামলায় নিন্দা জানিয়েছেন ইসরাইলের মার্কিন ও ইউরোপীয় কূটনীতিকরা।

হামাস এ হামলার প্রশংসা করলেও দায় স্বীকার করেনি।