বন্ধই থাকছে তাজমহলের ২২ কক্ষ

বন্ধই থাকছে তাজমহলের ২২ কক্ষ

তাজমহলের রহস্যঘেরা সেই ২২টি কক্ষ খোলার আবেদন নাকচ করে দিয়েছেন এলাহাবাদ হাইকোর্ট। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এলাহাবাদ হাইকোর্ট বৃহস্পতিবার তাজমহলের ‘ইতিহাস’ নিয়ে তদন্তের আবেদন খারিজ করে দিয়ে জানান, এগুলো আদালতের এখতিয়ারের বাইরে। বিষয়টি ইতিহাসবিদদের কাছেই ছেড়ে দেওয়া উচিত।

তাজমহল সম্রাট শাহজাহানের ভালোবাসার প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়ে আছে ৪০০ বছর ধরে।

আর এ দীর্ঘ সময় ধরেই এক রহস্যের বেড়াজালে নিজেকে আবৃত করে রেখেছে এই ঐতিহাসিক স্থাপনা।রাজকীয় এই সমাধিস্তম্ভে ২২টি তালাবদ্ধ কক্ষ তালাবদ্ধ অবস্থায় রয়েছে সব সময়ই। কী আছে এসব কক্ষের ভেতরে তা জানতেই যুগ যুগ ধরে যত কৌতূহল!

এর সেই রহস্যকে উন্মোচনের দাবি জানিয়েছিলেন ভারতের ক্ষমতাসীন দল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)।

ওই ২২ কক্ষগুলো খোলার দাবি নিয়ে এলাহাবাদ আদালতের দারস্থ হয়েছিলেন দলটির অযোধ্যা শাখার মিডিয়া ইনচার্জ ড. রজনীশ সিং।

আবেদনের পর বিজেপি নেতা রজনীশ বলেছিলেন, তাজমহলের ২২টি বন্ধ কক্ষ খুলে দিতে আদালতে আর্জি জানিয়েছি। তালাবদ্ধ কক্ষে কী আছে, সত্যটা যাই হোক প্রকাশ্যে আসা উচিত।

এমন আবেদনের কারণ বলতে তিনি জানান, তাজমহল নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। আমি আদালতে একটি পিটিশন দাখিল করেছি, যেন এই কক্ষগুলো খোলার নির্দেশ দেওয়া হয়। এই দরজাগুলো খোলা হলে যাবতীয় বিতর্ক থেমে যাবে, তা করতে তো কোনো ক্ষতি নেই।

উল্লেখ্য, তাজমহলের উত্তর দিকে লাল স্যান্ডস্টোনের বড় প্ল্যাটফর্ম থেকে দু’টি সিঁড়ি নেমে গেছে নিচে। সেখানে আছে ১৭টি কক্ষ। সেগুলো বন্ধ। এর নিচে রয়েছে একটি অলিন্দ। সেই অলিন্দ ঘুরে গিয়ে পৌঁছেছে মূল সমাধিস্থলের নিচে।

বিশ্লেষকদের মতে, পাথরের তৈরি ঘরগুলোতে বেশি মানুষজনের ভিড় হলে তাদের নিশ্বাস থেকে নির্গত কার্বন ডাই অক্সাইডের সংস্পর্শে এসে রাসায়নিক বিক্রিয়ায় মূল কাঠামোর শ্বেতপাথরের ক্ষতি হতে পারে। সে কারণেই ওই ঘরগুলি বন্ধ করে রাখা হয়েছে।