আবারো সিরিয়ায় অভিযানের হুঁশিয়ারি এরদোগানের

আবারো সিরিয়ায় অভিযানের হুঁশিয়ারি এরদোগানের

রুশ ও ইরানি প্রেসিডেন্টদের সাথে আলোচনার পরও নতুন করে সিরিয়ায় সামরিক অভিযান পরিচালনার হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যিপ এরদোগান। মঙ্গলবার ইরানি রাজধানী তেহরানে ভ্লাদিমির পুতিন, ইব্রাহিম রাইসির সাথে ত্রিপক্ষীয় শীর্ষ সম্মেলনে সিরিয়া ও অন্যান্য ইস্যুতে মতপার্থক্য নিরসনের জন্য বসেছিলেন এরদোগান।

এরদোগান সাম্প্রতিক সময়ে বলে আসছিলেন যে উত্তর সিরিয়ার তাল রিফাত ও মানবিজ নগরীতে সামরিক হামলা চালানো হবে। তুরস্ক মনে করে, ওই নগরী দুটিতে সিরিয়ান কুর্দি সন্ত্রাসীরা অবস্থান করছে। তবে এই অভিযানের বিরোধিতা করছে ইরান, রাশিয়া।

এরদোগান মঙ্গলবার আবারো ৩০ কিলোমিটারের তথাকথিত 'নিরাপদ জোন' প্রতিষ্ঠার তুর্কি পরিকল্পনার কথা বলেন।

এর আগে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি এ ধরনের অভিযান চালানোর বিরুদ্ধে তুরস্ককে হুঁশিয়ার করে দেন। নতুন তুর্কি অভিযানের ব্যাপারে ইতোপূর্বে ক্রেমলিনও আপত্তি উত্থাপন করেছিল।

তবে পুতিন ও রাইসি উভয়েই সহিংসতা হ্রাস ও কূটনৈতিকভাবে সিরিয়া সমস্যার সমাধানের জন্য 'আস্তানা ফরম্যাটের' প্রতি সমর্থন দিয়েছেন।

সম্মেলনের পর এক সংবাদ সম্মেলনে ইরানি প্রেসিডেন্ট রাইসি বলেন, আমরা চাই যে সিরিয়া সরকার তার দেশের সকল এলাকার ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করুক। ফোরাতের পূর্ব প্রান্তে আমেরিকানদের উপস্থিতির কোনোই যৌক্তিকতা নেই। তাদের অবশ্যই ওই এলাকা থেকে সরে যেতে হবে।

তিন নেতার সবাই একমত হন যে সংলাপের মাধ্যমে সিরিয়া সমস্যার সমাধান হওয়া উচিত। তারা তুরস্কে অভিবাসন করা সিরিয়ান নাগরিকদের ফিরিয়ে নিতে সহায়তা করার ব্যাপারেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

সম্মেলনের পর এক যৌথ ইস্তেহারে সিরিয়া সমস্যা সমাধানের ব্যাপারে একযোগে কাজ করতে তিন নেতা একমত হন। তারা সন্ত্রাস দমনের অজুহাতে নতুন বাস্তবতা সৃষ্টির সকল চেষ্টা প্রত্যাখ্যান করেন।

তিন প্রেসিডেন্ট ইসরাইলি সামরিক হামলারও নিন্দা করেন। তারা মনে করেন, এটা আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন ও এই অঞ্চলে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করছে।

তারা চলতি বছর শেষ হওয়ার আগেই রাশিয়ায় আস্তানা ফরম্যাটের দ্বিতীয় বৈঠক হবে বলে ঘোষণা করেন। সূত্র : আলজাজিরা