চীনা হুঁশিয়ারির পরও তাইওয়ান যাচ্ছেন পেলোসি!

চীনা হুঁশিয়ারির পরও তাইওয়ান যাচ্ছেন পেলোসি!

কঠোর চীনা হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করেই আজ মঙ্গলবার সম্ভবত তাইওয়ান যাচ্ছেন মার্কিন স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি। তিনি 'স্বশাসিত দ্বীপ দেশটির' প্রেসিডেন্টের সাথেও বৈঠক করবেন বলে এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। চীন ইতোমধ্যেই ঘোষণা করেছে, এই সফরটি হলে তাদের সামরিক বাহিনী 'অলসভাবে বসে থাকবে না।'

পেলোসি সোমবার সিঙ্গাপুরের মাধ্যমে তার এশিয়া সফর শুরু করেছেন। আজ মঙ্গলবার রাতে তিনি তাইওয়ান যেতে পারেন বলে জানা গেছে। তিনি বুধবার তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইঙ-ওয়েনের সাথে বৈঠক করতে পারেন।

ফিন্যান্সিয়াল টাইমস, লিবারটি টাইমসসহ কয়েকটি মিডিয়া জানিয়েছে, এশিয়া সফরের অংশ হিসেবে মঙ্গলবার রাতে তিনি তাইওয়ান যাবেন, বুধবার দেশটির প্রেসিডেন্টের সাথে বৈঠক করবেন।

উল্লেখ্য, ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফর নিয়ে কয়েক দিন ধরেই তীব্র উত্তেজনা চলছে। এশিয়া সফরের আগ দিয়ে রোববার পেলোসির অফিস জানিয়েছিল যে তার সফরের মধ্যে থাকছে সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান। এতে তাইওয়ানের কথা উল্লেখ ছিল না।

তাইওয়ানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তারা কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানায়।

চীন মনে করে তাইওয়ান তাদের অবিচ্ছেদ্য অংশ। তাদের এক চীন নীতির ব্যাপারে কোনো ধরনের ছাড় দিতে রাজি নয় চীন।

চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান সোমবার বলেছেন, পেলোসি যদি তাইওয়ান যান, তবে তা হবে 'চীনের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে ভয়াবহ হস্তক্ষেপ।' তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, এর ফলে 'খুবই ভয়াবহ ঘটনা ও পরিণাম' ঘটতে পারে।

তিনি নিয়মিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে বলেন, 'আমরা আবারো যুক্তরাষ্ট্রকে বলে দিতে চাই, চীন নিশ্চুপ থাকবে না, চীনা পিপলস লিবারেশন আর্মি অলসভাবে বসে থাকবে না। চীন কঠোরভাবে জবাব দেবে, তার সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষায় কঠিন পদক্ষপ গ্রহণ করবে।'

পিএলএ কোন ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারে- এমন প্রশ্নের জবাবে ঝাও বলেন, 'তিনি যদি যেতে সাহস করেন, তখন কী ঘটবে দেখার জন্য অপেক্ষা করুন।'

চীন মনে করে, মার্কিন কর্মকর্তারা তাইওয়ান সফর করে দ্বীপটির স্বাধীনতাপন্থীদের উৎসাহিত করছে। যুক্তরাষ্ট্র আনুষ্ঠানিকভাবে তাইওয়ানের সাথে আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক না রাখলেও তাদের প্রতিরক্ষায় সহায়তা করে যাচ্ছে।

এই প্রেক্ষাপটে পেলোসির সফরটি হবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তিনি পদাধিকারবলে মার্কিন প্রেসিডেন্সির উত্তরসূরি হওয়ার দ্বিতীয় ব্যক্তি। তাছাড়া তিনি চীনের তীব্র সমালোচক। ১৯৯৭ সালের পর এটি হবে হাউস স্পিকারের প্রথম তাইওয়ান সফর। ওই বছর নিউট গিঙরিচ তাইওয়ান সফর করেছিলেন।

এদিকে গত বৃহস্পতিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ফোনালাপ করেন। এ সময়ও শি তাকে এক চীন নীতি অনুসরণ করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, 'যারা আগুন নিয়ে খেলবে, তারা এতেই ধ্বংস হয়ে যাবে।'