দুর্ভিক্ষ মোকাবেলায় ১৭০ বিলিয়ন ডলারের তহবিল গঠন : বিশ্বব্যাংক

দুর্ভিক্ষ মোকাবেলায় ১৭০ বিলিয়ন ডলারের তহবিল গঠন : বিশ্বব্যাংক

‘২০২৩ সালের দুর্ভিক্ষ ও মহামন্দা রোধে ১৭০ বিলিয়ন ডলারের তহবিল গঠন করা করেছে বিশ্বব্যাংক।’ বিশ্বব্যাংকের প্রধান ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) এমডি এ তথ্য জানিয়েছে।

এছাড়া বিশ্ববাসীকে আগামী দিনের খাদ্য, জ্বালানি তেলসহ মহামন্দার বিভিন্ন বিষয়ে সতর্ক করছে বিশ্বব্যাংক।

স্থানীয় সময় শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে আইএমএফ-এর বার্ষিক সম্মেলনের পঞ্চম দিনে সংস্থাটির প্রধান কার্যালয়ে এসব তথ্য জানান তিনি।

তিনি জানান, মন্দার কবলে পড়লে খাদ্য সঙ্কটে পড়বে বিশ্বের ৩৫ কোটি মানুষ। তবে বিশ্বমন্দার আগেই বর্তমানে বিশ্বে ৪৮টি দেশের প্রায় চার কোটি মানুষ খাদ্য সঙ্কটে রয়েছে। বিশেষ করে, কোস্টারিকা, বসনিয়া ও রুয়ান্ডার অবস্থা সবচেয়ে বেশি খারাপ। করোনা মহামারী, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ আর বড় দেশগুলোর আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টার ফলে বিশ্ব আজ ঝুঁকির মধ্যে পড়ছে। ফলে এই অর্থনৈতিক সঙ্কটের আঁচ লেগেছে ছোট-বড় সব দেশেই।

তিনি আরো জানান, চলমান অর্থনৈতিক সঙ্কটের ফলে জ্বালানি তেলের চড়া দাম ও লাগামহীন মূল্যস্ফীতিতে খাদ্য ঘাটতি সৃষ্টি হবে। এ সঙ্কট থেকে মানুষকে বাঁচাতে সরকার প্রধানদের সতর্ক হওয়ার তাগিদ দিয়েছে বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফ। দুর্ভিক্ষ ঠেকাতে সহযোগী দেশগুলোর জন্য ১৭০ বিলিয়ন ডলারের তহবিল গঠন করেছে বিশ্বব্যাংক। যার মধ্যে ৩০ বিলিয়ন ডলার বরাদ্দ দেয়া হবে কেবল খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে।

বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফ বলছে, সঙ্কটে পড়ে সমাধানের চেষ্টা করার থেকে সরকার প্রধানদের উচিৎ আগেই সতর্ক হওয়া।

এ সময় আইএমএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা বলেন, বিশ্ব নেতাদের নির্লিপ্ততা বিশ্ববাসীকে মহা সঙ্কটে নিয়ে যাচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, বছর দুয়েক আগেও বিশ্ব জুড়ে শান্তি ছিল। মূল্যস্ফীতি, সুদের হার নিয়ে কোনো চাপ ছিল না। সে অবস্থা থেকে আমরা চরম অনিশ্চয়তার দিকে যাচ্ছি। ভূ-রাজনৈতিক সঙ্কট আর সঙ্ঘাত পুরো বিশ্বকে বিপজ্জনক অবস্থায় ঠেলে দিচ্ছে। তবে সঙ্কট এড়াতে বিশ্বের মোড়ল দেশগুলো হাত গুটিয়ে থাকলেও বিশ্বব্যাংক তার সহায়তা অব্যাহত রাখবে।

বিশ্বব্যাংক গ্রুপের প্রেসিডেন্ট ডেভিড ম্যালপাস বলেন, সঙ্কট মোকাবেলায় আগামী ১৫ মাসে ১৭০ বিলিয়ন ডলার অর্থ সহায়তা দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। যার মধ্যে খাদ্য নিরাপত্তায় ব্যয় হবে ৩০ বিলিয়ন ডলার। এছাড়া বেসরকারি খাতকে আইএমএফ বিশ্বব্যাপী খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে ছয় বিলিয়ন ডলার অর্থ সহায়তা দেবে।