ক্ষমা চাইলেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস

ক্ষমা চাইলেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস

পরপর দুই মন্ত্রীকে চাকরিচ্যুত করে চাপে পড়েছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস। নিজের ভুলের জন্য তিনি ক্ষমা চেয়েছেন। আর্থিক পরিকল্পনায় ইউ-টার্ন নিয়ে অর্থনৈতিক বিপর্যয় সৃষ্টিকারী সংস্কারগুলোকে ‘অতি দ্রুত এগিয়ে’ নেওয়ার জন্য সোমবার (১৭ অক্টোবর) ক্ষমাপ্রার্থনা করেন তিনি। খবর বিবিসি।

তিনি বলেন, ‘আমি কাজ করতে চেয়েছিলাম, করের সমস্যা মোকাবিলা এবং জ্বালানি বিল নিয়ে সাহায্য করতে, কিন্তু আমরা খুব বেশি এবং খুব দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলি’।

ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসির সঙ্গে সাক্ষাৎকারে লিজ ট্রাস আরও বলেন, তিনি যুক্তরাজ্যের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়ানোর জন্য এখনও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তবে এটি অর্জন করতে যে এখন আরও বেশি সময় লাগবে, সেটাও স্বীকার করেছেন তিনি।

সোমবার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী নিজের ভুল করার জন্য ক্ষমা চান এবং টোরিদের পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনে নেতৃত্ব দেওয়া নিয়ে নিজের ইচ্ছার কথাও জানান। তিনি বলেন, তার অল্প সময়ের এই প্রধানমন্ত্রীত্ব ‘নিখুঁত ছিল না’, তবে নিজের ভুল ‘শুধরে’ নিয়েছেন তিনি।

অর্থনৈতিক এই বিশৃঙ্খলা লিজের নিজের দলেও অসন্তোষের জন্ম দিয়েছে। কনজারভেটিভ পার্টিরই শতাধিক সংসদ সদস্য (এমপি) ট্রাসের প্রতি অনাস্থা জানিয়েছেন। আর এতে করে জনমত জরিপে বিরোধী লেবার পার্টির চেয়ে পিছিয়ে পড়ছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, এই ধাক্কায় আগামী সাধারণ নির্বাচনেও অনেক আসন হারাতে পারে কনজারভেটিভ পার্টির।

২০১৬ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে বেরিয়ে যাওয়ার ভোট দেওয়ার পর থেকে রাজনৈতিক সংকটে জর্জরিত ব্রিটেন এ পর্যন্ত তিন প্রধানমন্ত্রীকে হারিয়েছে। ট্যাক্স কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে গত মাসে কনজারভেটিভ পার্টির নেতৃত্বে জয়ী হয়েছেন ট্রাস। ক্ষমতায় এসেই এরই মধ্যে অজনপ্রিয় বাজেট প্রণয়ন এবং কিছু অর্থনৈতিক পদক্ষেপ নিয়েছেন তিনি। এসব পদক্ষেপ তার দলকে বিপর্যয়ের মুখে ফেলেছে। এখন তিনি রাজনৈতিকভাবে টিকে থাকার লড়াই করছেন।