ইমরান খান ৫ বছর ভোটে নিষিদ্ধ

ইমরান খান ৫ বছর ভোটে নিষিদ্ধ

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে পাঁচ বছরের জন্য পার্লামেন্ট সদস্য হওয়ার অযোগ্য ঘোষণা করেছে দেশটির নির্বাচন কমিশন। রাষ্ট্রীয় উপহার তোষাখানায় জমা না দিয়ে বিক্রির অভিযোগে পাকিস্তানের প্রধান নির্বাচন কমিশনার সিকান্দার সুলতান রাজার নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি বেঞ্চ আজ শুক্রবার ইসলামাবাদে এই রায় ঘোষণা করেন।

পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডন জানিয়েছে, নির্বাচন কমিশনের এই রায়ের ফলে পাকিস্তানের সংবিধান অনুযায়ী, দেশের মজলিস-ই-শুরার (পার্লামেন্ট) পাশাপাশি প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনেও ভোট করার সুযোগ থাকল না ইমরান খানের সামনে।

তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ইমরানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) ওই রায় প্রত্যাখ্যান করে বলেছে, তারা ইসলামাবাদ হাইকোর্টে যাবে। সেই সঙ্গে নেতাকর্মীদের বিক্ষোভে নামারও আহ্বান জানানো হয়েছে দলের পক্ষ থেকে।

তোশাখানা মামলার শুনানিতে ইমরান খানের আইনজীবী দাবি করেন, নিয়ম মেনে তোশাখানা থেকে উপহার কিনেছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকেও অবহিত করা হয়।

উপহার কেনার অর্থের উৎস সম্পর্কে জানতে চেয়েছিলেন কমিশনের সদস্যরা। জবাবে ইমরান খানের আইনজীবী বলেন, তিনি এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য কমিশনকে দেবেন না।

তোশাখানা কেলেঙ্কারির ঘটনায় ইমরান খানকে অযোগ্য ঘোষণার আবেদনটি গত ২২ আগস্ট নির্বাচন কমিশনে পাঠিয়ে দেন ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির স্পিকার রাজা পারভেজ আশরাফ। ২৮ পৃষ্ঠার আবেদনে বলা হয়, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান রাষ্ট্রীয় তোশাখানা থেকে ৫২টি উপহার নিয়েছেন। তিনি আইন ও বিধি লঙ্ঘন করে নামমাত্র মূল্যে এসব উপহার নিয়েছেন। অধিকাংশ উপহার তিনি বিক্রি করে দিয়েছেন।

উপহারের মধ্যে কিছু দামি হাতঘড়িও রয়েছে। এসব উপহারের আনুমানিক মূল্য ১৪ কোটি ২০ লাখ রুপি। ইমরান খান প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনকালে ২০১৮ সালের আগস্ট থেকে ২০২১ সালের ডিসেম্বর নাগাদ এসব উপহার নিয়েছিলেন।