কনজারভেটিভ পার্টি এবং বৃটেনকে ঐক্যবদ্ধ করাই হবে আমার প্রধান অগ্রাধিকার: সুনাক

কনজারভেটিভ পার্টি এবং বৃটেনকে ঐক্যবদ্ধ করাই হবে আমার প্রধান অগ্রাধিকার: সুনাক

বৃটেন এক ‘গভীর অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ’- এর মুখে রয়েছে জানিয়ে ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির নতুন নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। প্রতিদ্বন্দ্বী পেনি মর্ডান্ট এমপিদের কাছ থেকে যথেষ্ট সমর্থন পেতে ব্যর্থ হওয়ায় টোরি নেতৃত্বের প্রতিযোগিতায় জয়ী হন তিনি। তার প্রথম বক্তৃতায় সুনাক বলেন, তার দল এবং বৃটেনকে ঐক্যবদ্ধ করাই হবে তার ‘সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার’। এ খবর দিয়েছে বিবিসি।

খবরে জানানো হয়, সুনাক বৃটেনের ইতিহাসের প্রথম বৃটিশ-এশিয়ান প্রধানমন্ত্রী এবং গত ২০০ বছরের মধ্যে সবথেকে কম বয়স্ক প্রধানমন্ত্রীও তিনি। ৪২ বছরের সুনাক হিন্দু ধর্মে বিশ্বাসী। নির্বাচিত হওয়ার পর এখন আনুষ্ঠানিকভাবে তাকে সরকার গঠন করতে বলবেন রাজা চার্লস। তিনি লিজ ট্রাসের স্থলাভিষিক্ত হবেন। মাত্র ৪৫ দিন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনের পর অস্থির অবস্থায় পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন ট্রাস।

মন্ত্রিসভার চূড়ান্ত বৈঠকের সভাপতিত্ব করার পর নিজের বিদায়ী বক্তব্য দেয়ার কথা রয়েছে ট্রাসের। এরপর তিনি রাজার সঙ্গে দেখা করতে যাবেন এবং নিজের পদত্যাগের আবেদন করবেন। সুনাককেও এদিনই সরকার গঠন করতে বলবেন রাজা।

রাজার নির্দেশের পর সুনাক ডাউনিং স্ট্রিটে যাবেন এবং দায়িত্ব গ্রহণের আগে একটি বক্তব্য দেবেন। বৃটেনের নতুন প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানাতে তাকে ফোন করতে পারেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি বিষয়টি জানিয়েছেন।

২০১৯ সালে সাধারণ নির্বাচনে জয় পায় কনজারভেটিভ পার্টি। এরপর দলটির হয়ে তৃতীয় প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণ করলেন সুনাক। এমন বারবার প্রধানমন্ত্রী বদলের কারণে আগাম নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে বিরোধী দল লেবার পার্টি। তবে সুনাক এরইমধ্যে আগাম নির্বাচনের দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন। গত নির্বাচনে বড় ব্যবধানে জয় পেয়েছিল কনজারভেটিভ দল। তবে এমপিদের কাছে তিনি বলেন, সেই দল নানা বিভক্তির কারণে ‘অস্তিত্বের হুমকিতে’ পড়েছে। কিন্তু এখনও ঐক্যবদ্ধ হলে আগামী নির্বাচন জেতা সম্ভব।

এরপ দুই মিনিটেরও কম সময়ের একটি টেলিভিশন ভাষণে সুনাক ‘সততার সাথে’ দায়িত্ব পালন করার প্রতিশ্রুতি দেন এবং ‘কঠিন পরিস্থিতিতে’ দেশকে নেতৃত্ব দেয়ার জন্য বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাসকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, বৃটেন একটি মহান দেশ। কিন্তু কোন সন্দেহ নেই যে আমরা একটি গভীর অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন। আমাদের এখন স্থিতিশীলতা ও ঐক্য দরকার এবং আমি আমাদের দল এবং আমাদের দেশকে একত্রিত করাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেব।

গত সেপ্টেম্বরে লিজ ট্রাসের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে হেরে যান সুনাক। এরপর খুব অল্প সময়ের মধ্যেই আবারও তিনি প্রধানমন্ত্রী হয়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছেন। বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী ট্রাস তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন এবং তাকে পূর্ণ সমর্থন দেয়ারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। কনজারভেটিভ পার্টির চেয়ারম্যান জেক বেরি বলেছেন, ট্রাসের প্রধানমন্ত্রীত্বের অধীনে তীব্র রাজনৈতিক অস্থিরতার পর এখন ‘ঋষির পিছনে একত্রিত হওয়ার’ সময় এসেছে।