যুক্তরাষ্ট্রে আবারো স্কুলে বন্দুক হামলা : নিহত ৩

যুক্তরাষ্ট্রে আবারো স্কুলে বন্দুক হামলা : নিহত ৩

যুক্তরাষ্ট্রে আবারো একটি স্কুলে বন্দুক হামলা হয়েছে। এতে অন্তত তিনজন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে সন্দেহভাজন হামলাকারীও রয়েছেন। এছাড়া আরো অন্তত সাতজন আহত হয়েছেন।

স্থানীয় সময় সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের মিসৌরি অঙ্গরাজ্যের সেন্ট লুইস শহরের একটি হাইস্কুলে এ ঘটনা ঘটে।

মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

জানা গেছে, বন্দুকধারী সেন্ট্রাল ভিজ্যুয়াল অ্যান্ড পারফর্মিং আর্টস স্কুলে প্রবেশ করে এ হামলা চালায়। হামলার ঘটনার পরপরই ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। তবে হামলার প্রাথমিক কারণ সম্পর্কে স্পষ্ট করেনি কর্তৃপক্ষ।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, হামলা শুরুর পর একপর্যায়ে বন্দুকধারীর হাতে থাকা অস্ত্রটি জ্যাম বা আটকে যাওয়ার পর অনেকের প্রাণ রক্ষা পায়।

সেন্ট লুইস পাবলিক স্কুল বলছে, পুলিশ অভিযুক্ত ওই বন্দুকধারীকে ‘দ্রুত থামিয়েছে’। সন্দেহভাজন ওই হামলাকারীকে ১৯ বছর বয়সী সাবেক ছাত্র হিসাবে পুলিশ শনাক্ত করেছে। হামলার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছালে পুলিশের সাথে অভিযুক্ত হামলাকারীর গুলি বিনিময় হয় এবং পরে নিজের আঘাতে সে মারা যায়।

বিবিসি বলছে, হামলাকারী ছাড়া নিহতদের অন্য দু’জন হচ্ছেন একজন কিশোরী এবং একজন নারী। হামলার পরপরই ওই কিশোরীকে স্কুলের ভেতরেই মৃত ঘোষণা করা হয়। এছাড়া নিহত ওই নারী হামলায় আহত হওয়ার পর হাসপাতালে নেয়া হলেও সেখানে মারা যায় বলে পুলিশ স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে।

স্থানীয় গণমাধ্যমের তথ্য অনুসারে, হামলায় আহত সাতজনের মধ্যে তিনজন মেয়ে এবং চারজন ছেলে। তাদের কারো আঘাতই খুব বেশি গুরুতর নয়।

শহরের পুলিশ কমিশনার মাইকেল স্যাকের মতে, অফিসাররা ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর পর আক্রমণকারীর কাছে ‘লম্বা বন্দুক’ দেখতে পান। এছাড়া হামলার আতঙ্কে অনেক শিক্ষার্থীকে স্কুল থেকে পালিয়েও যেতে দেখেন তারা।

তিনি বলেন, ‘এটি আমাদের সকলের জন্য হৃদয়বিদারক দিন’। এফবিআই এজেন্টরা তদন্তে সহায়তা করছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুক হামলা ও এতে প্রাণহানির ঘটনা কিছুতেই থামছে না। হাসপাতাল, মেডিকেল সেন্টার, স্কুল, রেল স্টেশনের মতো জায়গাগুলোতেও প্রায়ই হামলার ঘটনা ঘটছে। গত মে মাসে টেক্সাসে একটি স্কুলে ভয়াবহ হামলায় নিহত হয় ১৯ শিশু শিক্ষার্থীসহ ২১ জন।

রব এলিমেন্টারি স্কুলের সেই ঘটনায় কেঁপে ওঠে গোটা যুক্তরাষ্ট্র। এরপরই আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে জোর দাবি উঠতে থাকে দেশজুড়ে। সূত্র : বিবিসি