কিয়েভ থেকে সকল বাসিন্দাদের সরিয়ে নিতে পারে ইউক্রেন: নিউ ইয়র্ক টাইমস

কিয়েভ থেকে সকল বাসিন্দাদের সরিয়ে নিতে পারে ইউক্রেন: নিউ ইয়র্ক টাইমস

রাশিয়ার একের পর এক ড্রোন ও মিসাইল আক্রমণে ধ্বংস হয়ে গেছে ইউক্রেনের বিদ্যুৎ অবকাঠামোর একটি বড় অংশ। ফলে দেশটির অর্ধকোটি মানুষ এখন পুরোপুরি বিদ্যুৎহীন অবস্থায় রয়েছেন। এছাড়া যেসব এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করা যাচ্ছে সেখানেও উৎপাদন কমে যাওয়ায় প্রায় সারাদিনই লোডশেডিং থাকছে। এমন অবস্থায় রাজধানী কিয়েভ থেকে বাসিন্দাদের অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা করছে ইউক্রেন। দেশটির কর্তৃপক্ষ বলছে, যেভাবে রাশিয়া আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে তাতে পুরোপুরি বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়তে পারে কিয়েভ। তখন সরকারকে বাধ্য হয়ে বাসিন্দাদের অন্যত্র সরিয়ে নিতে হবে।

বর্তমানে কিয়েভে প্রায় ৩০ লাখ মানুষ বাস করে। সোশ্যাল মিডিয়ায় কিয়েভের বাসিন্দারা জানাচ্ছেন যে, দিনের বড় একটি সময়ই বিদ্যুৎ থাকছে না তাদের। ইউক্রেনের দাবি, রাশিয়ার আক্রমণে তাদের ৪০ শতাংশ বিদ্যুৎ অবকাঠামো পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। ফলে তাদের পক্ষে আর আগের মতো বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব হচ্ছে না।

এমন অবস্থায় সামনে কঠিন শীতে ইউক্রেনীয়দের জীবন বিপন্ন হওয়ার পথে। বাড়িতে বাড়িতে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সম্ভব না হওয়ায় এখন দেশজুড়ে এক হাজার হিটিং শেল্টার তৈরির পদক্ষেপ নিয়েছে দেশটি।

ন্যাশনাল গ্রিডের ওপর চাপ কমাতে শিডিউলের মাধ্যমে লোডশেডিং দিচ্ছে ইউক্রেনের বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ। নিউ ইয়র্ক টাইমস বলছে, যুদ্ধক্ষেত্রে রাশিয়ার অগ্রগতি থমকে গেছে। ইউক্রেনের সেনারা এখন বিভিন্ন ফ্রন্টেই অগ্রসর হচ্ছে। এমন অবস্থায় ইউক্রেনের বিদ্যুৎ ও জ্বালানী অবকাঠামো ধ্বংস করে রাশিয়া নিজের সফলতা দেখানোর চেষ্টা করছে।
কিয়েভের নিরাপত্তা কর্মকর্তা রোমান টিকাচুক বলেন, আমরা বুঝতে পারছি যে- রাশিয়া যদি এভাবে আক্রমণ অব্যাহত রাখতে তাহলে আমাদের গোটা বিদ্যুৎ ব্যবস্থাই ভেঙে পড়বে। তবে গ্রিড পুরোপুরি অচল হওয়ার আগে আমরা ১২ ঘণ্টার মতো সময় পাব। যদি অবস্থা তাই হয় তাহলে আমরা নাগরিকদের কিয়েভ ছেড়ে যাওয়ার অনুরোধ করবো। তবে এখন পর্যন্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের মধ্যেই রয়েছে। যদিও কিয়েভের বাসিন্দাদের মধ্যে কিয়েভ ছাড়ার প্রবণতা এখন থেকেই দেখা যাচ্ছে। পুরোপুরি বিদ্যুৎহীন হয়ে গেলে সকলেই শহর ছাড়তে শুরু করবে। ইউক্রেনের কর্মকর্তারা জানিয়েছে, যদি বিদ্যুৎ না থাকে তাহলে শহরে কোনো পানি এবং নিষ্কাশন ব্যবস্থাও থাকবে না। তাই এখন ইউক্রেনের প্রথম টার্গেট বিদ্যুৎ অবকাঠামোগুলোর সুরক্ষা নিশ্চিত করা।