রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তার কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র প্রতিবেশী বেলারুশে জমা করার ঘোষণা দিয়েছেন। বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র যেমন ইউরোপে তার অস্ত্র জমা করছে, সেরকমভাবে তিনিও এটা করবেন। তবে এতে পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ চুক্তি লঙ্ঘন হবে না। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি।
পুতিন বলেছেন, বেলারুশে অস্ত্র জমা করলেও এর নিয়ন্ত্রণ মিনস্কের হাতে তুলে দেবে না রাশিয়া। এ ঘোষণার পর যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, তারা বিশ্বাস করে না ইউক্রেন যুদ্ধে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করার প্রস্ততি নিচ্ছে রাশিয়া। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, আমাদের পারমাণবিক অস্ত্রের কৌশল ‘এডজাস্ট’ করার কোনো কারণ দেখছি না। ন্যাটো জোটের সমন্বিত প্রতিরক্ষা বিষয়ক কৌশলের প্রতি আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
উল্লেখ্য, বেলারুশে বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকার রাশিয়ার মিত্র এবং ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার আগ্রাসনের সমর্থক। শনিবার পুতিন রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেয়া ভাষণে বলেছেন, বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্দার লুকাশেঙ্কো দীর্ঘদিন ধরে তার দেশে পারমাণবিক অস্ত্র মজুদের বিষয়ে কথা বলছেন। এক্ষেত্রে অন্য কোনো অস্বাভাবিক কিছু ঘটছে না। প্রথমত, যুক্তরাষ্ট্র দশকের পর দশক এই কাজটিই করে আসছে।
তারা মিত্র দেশগুলোতে কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েন করেছে। পুতিন বলেন, আগামী ১লা জুলাইয়ের মধ্যে বেলারুশে কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র মজুদ রাখার একটি অবকাঠামো নির্মাণ সম্পন্ন করছে রাশিয়া। এরই মধ্যে বেলারুশে ইসকান্দার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থার অল্প পরিমাণ হস্তান্তর করা হয়েছে। এসব ক্ষেপণাস্ত্র পারমাণবিক অস্ত্র বহন করতে পারে।
তবে বেলারুশের কাছে পারমাণবিক অস্ত্র কবে নাগাদ বা কোন ধরনের অস্ত্র তুলে দেয়া হবে সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট করে কিছু বলেননি পুতিন। ১৯৯০ এর দশকে মধ্যভাগের পর থেকে প্রথমবারের মতো এবারই মস্কো তার পারমাণবিক অস্ত্রের ঘাঁটি দেশের বাইরে স্থাপন করছে। ১৯৯১ সালে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের পতন হয়। এর অর্থ হলো চারটি নতুন স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্ম হয়। তা হলো রাশিয়া, ইউক্রেন, বেলারুশ ও কাজাখস্তান। তারা ১৯৯৬ সালের মধ্যে সব অস্ত্র রাশিয়াকে বুঝিয়ে দেয়।