আত্মসমর্পণের পর অবশেষে গ্রেপ্তার সেই অমৃতপাল সিং

আত্মসমর্পণের পর অবশেষে গ্রেপ্তার সেই অমৃতপাল সিং

অবশেষে শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা অমৃতপাল সিং আত্মসমর্পণ করেছেন। এরপর তাকে গ্রেপ্তার করেছে পাঞ্জাব পুলিশ। কয়েক সপ্তাহ তাকে ঘিরে রাজনীতি এবং প্রশাসনে তীব্র উত্তেজনার পর ১৮ই মার্চ তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে পুলিশ। তার ও তার সমর্থকদের বিরুদ্ধে পুলিশ কর্মকর্তাদের হত্যা ও তাদের ওপর আক্রমণের অভিযোগ আছে ফেব্রæয়ারিতে একটি পুলিশ স্টেশনে তার কয়েক শত সমর্থক হামলা চালায়। তাদের একজন সদস্যকে গ্রেপ্তারের বিরুদ্ধে এই হামলা হয়। তারা তাকে মুক্তি দেয়ার দাবি জানায়। এ সময়ই অমৃতপাল সিং-এর নাম ছড়িয়ে পড়ে। তার প্রচারণা ১৯৮০-এর দশকে বিচ্ছিন্নতাবাদী বিদ্রোহের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। তখন পাঞ্জাবে ব্যাপব দমনপীড়ন চালানো হয়। এতে কয়েক হাজার মানুষ নিহত হন।

এবারের ঘটনার পর পুলিশ নয়াদিল্লি, পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ডে তল্লাশি অভিযান চালায়।

ভারতের অনুরোধে নজরদারি বৃদ্ধি করে প্রতিবেশী নেপাল। অমৃতপাল সিং বলেন, তার সমর্থকরা শিখদের জন্য একটি পৃথক রাষ্ট্রের জন্য খালিস্তান আন্দোলন করছে। জারনাইল সিং ভিন্দ্রানওয়ালের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে তারা এ আন্দোলন করছেন। জারনাইল সিংকে ভারত সরকার ১৯৮০-এর দশকে সশস্ত্র বিদ্রোহে নেতৃত্ব দেয়ার জন্য অভিযুক্ত করে। ১৯৮৪ সালে শিখ ধর্মের একটি পবিত্র উপাসনালয় গোল্ডেন টেম্পলে ভারতীয় সেনাদের ঝড়ো অভিযানে তাকে হত্যা করা হয়।

এবার ১৮ই মার্চ অমৃতপাল সিংকে গ্রেপ্তারের উদ্যোগ নেয় পুলিশ। তাকে গ্রেপ্তার করতে হাজার হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হয় রাজ্যজুড়ে। পথে পথে বøকেড দেয়া হয়। কিন্তু তার ভিতর দিয়ে নাটকীয়ভাবে গাড়ি বদল করে করে তিনি পালিয়ে যান। এই পালিয়ে যাওয়ার দৃশ্য তার কিছু সহযোগী সরাসরি সম্প্রচারকরে। কয়েকদিনের মধ্যে তার বেশ কিছু সমর্থককে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদেরকে পাঠানো হয় আসামের উচ্চ নিরাপত্তা সম্বলিত জেলে। এখন খবরে বলা হচ্ছে, অমৃতপাল সিংকেও সেখানে পাঠানো হবে।

শিখদের সর্বোচ্চ নেতা আকাল তাখত। তিনি পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণের জন্য অমৃতপাল সিংয়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন। একই সঙ্গে তদন্তে সহযোগিতা করার অনুরোধ করেন। ওদিকে তার সমর্থক ও আন্দোলনকারীদের গ্রেপ্তার ও জেলে পাঠানোর বিষয়ে প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে। কানাডায় শিখদের একটি গ্রুপ এর প্রতিবাদে বিশাল প্রতিবাদ বিক্ষোভ করেছে। লন্ডনে ভারতীয় হাই কমিশনের বাইরে প্রতিবাদ বিক্ষোভ হয়েছে। সান ফ্রান্সিকোতে খালিস্তানপন্থিরা ভারতীয় কনস্যুলেটে ভাংচুর চালিয়েছে। তারা অমৃতপাল সিংয়ের মুক্তি দাবি করেছে।