ফের তেলবাহী জাহাজ আটক করল ইরান

ফের তেলবাহী জাহাজ আটক করল ইরান

এক সপ্তাহের ব্যবধানে হরমুজ প্রণালী থেকে আরও একটি তেলবাহী জাহাজ আটক করেছে ইরান। এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে উত্তেজনাকর সম্পর্কের মধ্যে দুটি ওয়েল ট্যাংকার জব্দ করেছে তেহরান।

মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক যুক্তরাষ্ট্রের পঞ্চম নৌবহর এবং ইরানের সংবাদমাধ্যমগুলো বুধবার নিশ্চিত করেছে ইরানের ইসলামিক রেভ্যুলশনারি গার্ড কর্পোরেশন (আইআরজিসি) ব্যস্ততম আন্তর্জাতিক নৌ রুটে জাহাজটিকে রুখে দেয়।

যুক্তরাষ্ট্রের নৌ-বহরের প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায়, আইআরজিসি`র অন্তত ১২টি দ্রুতগতির জলযান পানামার পতাকাবাহী তেলবাহী ট্যাংকার `নিয়োভি`র দিকে ছুটে যাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, জোরপূর্বক পানামার জাহাজটির গতি পরিবর্তন করে ইরানি জলসীমায় নিয়ে যায় বিপ্লবী গার্ড। যাকে স্পষ্টতই বলা হচ্ছে `বেআইনিভাবে আটক`।

ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তাসংস্থা ইরনা এই আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করলেও এই বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানায়নি।

ইরানের বিচারবিষয়ক বার্তাসংস্থা মিজান জানিয়েছে, এক বাদীর অভিযোগের ভিত্তিতে আদালতের দেয়া নির্দেশে জাহাজটি জব্দ করেছে আইআরজিসি।

তবে বিপ্লবী গার্ড আইআরজিসি তাৎক্ষণিকভাবে জানায়নি আটককৃত জাহাজের নাম ও আটকের কারণ। সূত্র: আল জাজিরা

কয়েকদিন আগে ইরানের সেনাবাহিনীর আওতাধীন নৌ সেনারা ওমান উপসাগর থেকে যুক্তরাষ্ট্রমুখী একটি জাহাজ আটক করে। যুক্তরাষ্ট্রের পঞ্চম নৌবহর জানিয়েছে এমনভাবে আন্তর্জাতিক জলসীমায় জাহাজ আটকের বিষয়টি আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন এবং ‘আন্তর্জাতিক অর্থনীতি এবং সামুদ্রিক নিরাপত্তার জন্য হুমকি।’

তবে ইরান জানিয়েছিল তুরস্কের চালিত এবং চীনের মালিকানাধীন অ্যাডভান্টেজ সুইট নামের ওই জাহাজটি ইরানের একটি জাহাজকে ধাক্কা দিয়েছিল। এ কারণে এটি আটক করা হয়। ওই জাহাজটি যুক্তরাষ্ট্রের শেভরন কোম্পানির জন্য কুয়েত থেকে জ্বালানি নিয়ে টেক্সাসে যাচ্ছিল।

এদিকে পশ্চিমা দেশগুলোর সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, কয়েকদিন আগে ইরানের তেলবাহী জাহাজ আটক করে যুক্তরাষ্ট্র। এর প্রতিবাদে ইরানও যুক্তরাষ্ট্রগামী একটি জাহাজ আটক করে।

তেলবাহী ট্যাংকার আটক নিয়ে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে উত্তেজনা অনেক পুরোনো। গত বছর গ্রিস উপকূল থেকে ইরানের একটি কার্গো জব্দ করার চেষ্টা চালায় যুক্তরাষ্ট্র। এর জবাবে গ্রিসের দুটি ট্যাংকার জব্দ করে ইরান। যেগুলো কয়েক মাস আটকে রাখে দেশটি। কিন্তু পরবর্তীতে গ্রিসের আদালত ইরানি জাহাজটিকে ছেড়ে দেয়ার নির্দেশ দেয়। এরপর ইরানও গ্রিসের ওই দুটি জাহাজ মুক্ত করে দেয়।