অন্যান্য মুদ্রার বিপরীতে যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের দাম কমছেই। বৃহস্পতিবার (১১ মে) আন্তর্জাতিক মুদ্রাবাজারে আরেক দফা কমেছে দেশটির মুদ্রার দর। ইতোমধ্যে মার্কিন ট্রেজারি ইল্ড নিম্নমুখী হয়েছে। মূলত এতেই গ্রিনব্যাকের মূল্য হ্রাস পেয়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
এতে বলা হয়, বুধবার (১০ মে) অর্থনীতির তথ্য প্রকাশ করেছে ইউএস অর্থ বিভাগ। তাতে দেখা গেছে, গত এপ্রিলে দেশটিতে মূল্যস্ফীতি মন্থর হয়েছে। ফলে ব্যবসায়ীরা আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠেছেন, ফেডারেল রিজার্ভ (ফেড) সুদহার বৃদ্ধিতে বিরতি দিতে যাচ্ছে।
এ প্রেক্ষাপটে প্রধান ৬ মুদ্রার বিপরীতে ডলার সূচক নিম্নমুখী হয়েছে শূন্য দশমিক ২৬ শতাংশ। বর্তমানে তা ১০১ দশমিক ৩৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে। এ নিয়ে টানা দুই কার্যদিবসে সূচকটির পতন ঘটলো।
এতে জাপানি মুদ্রার বিরুদ্ধে ইউএস কারেন্সি দুর্বল হয়েছে শূন্য দশমিক ২৬ শতাংশ। প্রতি ডলারের মূল্য স্থির হয়েছে ১৩৪ দশমিক ০২৫ ইয়েনে। ইউরো ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে শূন্য দশমিক ০৫ শতাংশ। ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের (ইইউ) মূল মুদ্রাটির দাম নিষ্পত্তি হয়েছে ১ দশমিক ০৯৮৮৫ ডলারে।
স্টার্লিয়ের দর বৃদ্ধি পেয়েছে শূন্য দশমিক ০৪ শতাংশ। ব্রিটিশ মুদ্রাটির মূল্য দাঁড়িয়েছে ১ দশমিক ২৬৩১ ডলারে। অস্ট্রেলিয়ার মুদ্রার মূল্যমান বেড়েছে শূন্য দশমিক ০৮ শতাংশ। অজি মুদ্রাটি বিক্রি হচ্ছে শূন্য দশমিক ৬৭৮৪ ডলারে।
টোকিওভিত্তিক বার্কলেসের জ্যেষ্ঠ মুদ্রা কৌশলবিদ শিনিছিরো কাদোতা বলেন, মার্কিন ভোক্তা মূল্য সূচক (সিপিআই) বেশ স্বস্তিদায়ক। গত ২ বছরের মধ্যে ৫ শতাংশের নিচে নেমেছে এটি। ফলে আশা করা হচ্ছে, সুদ হার বাড়ানো বন্ধ করবে ফেড।