ইয়াসমিন রশিদ ও শিরীন মাজারি গ্রেপ্তার

ইয়াসমিন রশিদ ও শিরীন মাজারি গ্রেপ্তার

ইমরান খানের দল পিটিআই’র দুই নেত্রীকে গ্রেপ্তার করেছে পাকিস্তান পুলিশ। গ্রেপ্তার হওয়া নেত্রীরা হচ্ছেন, ইয়াসমিন রশিদ এবং শিরীন মাজারি। পিটিআই-এর অফিসিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে বলা হয়েছে, পিটিআইয়ের আয়রন লেডি নামে পরিচিত ডক্টর ইয়াসমিন রশিদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে! এছাড়া পিটিআই’র আরেক নেতা শিরীন মাজারিকে শুক্রবার সকালে তার বাড়ি থেকে নিয়ে যায় পুলিশ।

ইয়াসমিন রশিদকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে পিটিআই বলেছে, তারা মনে করছে এই গ্রেপ্তারের মাধ্যমে এই আন্দোলন থামাতে পারবে। কিন্তু তারা জানে না যে, পাকিস্তান চিরতরে বদলে গেছে। আমরা সবাই এখন ইমরান খান। পৃথকভাবে পিটিআই নেতা হাম্মাদ আজহার একটি টুইটে অভিযোগ করেছেন, ডক্টর ইয়াসমিন রশিদকে গ্রেপ্তার করার পর তার ফোন অবৈধভাবে ব্যবহার করা হয়েছিল। ইসলামাবাদে না যাওয়ার জন্য লোকজনকে বার্তা পাঠানো হয়েছিল। এই জিনিস থেকে সাবধান থাকুন। তিনি দলীয় সমর্থকদের রাজধানীর দিকে যাওয়ার নির্দেশ দেন।

এদিকে পিটিআই পৃথক বার্তায় জানিয়েছে, দলটির আরেক সিনিয়র নেতা শিরীন মাজারিকে শুক্রবার ভোরে গ্রেপ্তার করেছে ইসলামাবাদ পুলিশ। শিরীন মাজারির মেয়ে ইমান হাজির-মাজারি টুইটারে একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন।

এতে দেখা গেছে, সাদা পোশাকের কয়েকজন সাবেক এই মন্ত্রীকে গ্রেপ্তার করতে জোর করে তার বাড়িতে ঢুকছেন। পরে টুইটারে আরেকটি ভিডিওতে দেখা যায় যে, নারী কর্মকর্তারা শিরীন মাজারিকে তার বাসভবন থেকে নিয়ে যাচ্ছেন। যখন তাকে পুলিশের গাড়িতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, মাজারি হাত নাড়ছিলেন।

মাজারির মেয়ে টুইট করে বলেন, অস্ত্রসহ ৫০ জন পুলিশ তার বাসভবনে প্রবেশ করেছে। পিটিআই বলেছে, শিরীন মাজারিকে এই মুহূর্তে অপহরণ করা হচ্ছে। পুলিশ বন্দুক নিয়ে তার বাড়িতে ঢুকেছে। এটি চরম লজ্জাজনক।