বিচারবিভাগই একমাত্র আশা: ইমরান খান

বিচারবিভাগই একমাত্র আশা: ইমরান খান

পাকিস্তানের গণতন্ত্রের বর্তমান অবস্থা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। সম্প্রতি গ্রেপ্তার এবং মুক্তির পর রোববার প্রথমবারের মতো তিনি বিদেশি কোনো মিডিয়াকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, দেশের গণতন্ত্র সর্বনিম্ন অবস্থানে চলে এসেছে। তার একমাত্র আশার জায়গা হলো বিচারবিভাগ। তিনি আরও বলেন, আমি আবারও জেলে যেতে প্রস্তুত। তাকে গ্রেপ্তার করাকে তিনি হতাশাজনক বলে মন্তব্য করেন। এ খবর দিয়েছে অনলাইন জিও টিভি। এতে বলা হয়, ইমরান খান এসব কথা বলছেন স্কাই নিউজকে।

ক্রিকেটার থেকে রাজনীতিকে পরিণত হওয়া ইমরান খান প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন। গত সরকারের নেতৃত্বে ছিলেন তিনি। কিন্তু গত বছর এপ্রিলে পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটে হেরে তিনি ক্ষমতাচ্যুত হন।

তিনি দেশে মৌলিক অধিকার লংঘনের বিষয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তার দাবি, বিষয়টি অনাকাঙ্খিত পর্যায়ে এসে পৌঁছেছে। গ্রেপ্তার করে তাকে জেলে রাখার বিষয়ে নিজের হতাশাজনক অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেছেন সাক্ষাৎকারে। বলেছেন, তার জামান পার্কের বাড়িতে পুলিশ দু’বার অভিযান চালিয়েছে। তিনি অভিযোগ করেন, এমন এক অভিযানের সময় তার স্ত্রী বুশরা বিবি ছিলেন। সেখানে শক্তি প্রয়োগ করে কর্তৃপক্ষ দরজা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে। এটা অপ্রত্যাশিত এবং দুঃখজনক ঘটনা বলে বর্ণনা করেন ইমরান খান।

দেশের অবনতিশীল গণতান্ত্রিক অবস্থার ওপর জোর দিয়ে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার বিরুদ্ধে প্রায় ১৫০টি মামলা দেয়া হয়েছে। দেশের যেকোনো রাজনৈতিক নেতার বিরুদ্ধে এই সংখ্যা রেকর্ড। সরকার নির্বাচনকে ভয় পাচ্ছে বলে উল্লেখ করেন ইমরান খান। তিনি বলেন, নির্বাচন হলেই সরকার বড় ব্যবধানে পরাজিত হবে বলে তাদের মধ্যে বিশ্বাস জন্মেছে। ইমরান খান বলেন, সরকারের মধ্যে ভয় ঢুকে গেছে যে, নির্বাচন হলে পিটিআই তাদেরকে উচ্ছেদ করবে। তিনি রাজনৈতিক বিরোধপূর্ণ পরিস্থিতির ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, ক্ষমতাসীন জোট একমাত্র তখনি নির্বাচন দিতে পারে, যদি তারা তাকে জেলে ঢোকাতে পারে বা হত্যা করতে পারে। দু’বার তাকে হত্যাচেষ্টা করা হয়েছে বলে দাবি করেন ইমরান খান। নিজের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ তুলে ধরেন।

তাকে ৯ই মে গ্রেপ্তারের পর তার দলীয় নেতাকর্মীরা যে সহিংসতা চালিয়েছে সে বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে ইমরান খান বলেন, তিনি যেকোন রকম সহিংসতার নিন্দা জানান। গ্রেফতারের সময়ের বর্ণনা দিয়ে ইমরান খান বলেন, প্রথমে তার ভিতর কিছু সংশয় কাজ করছিল। আকস্মিক কিছু কমান্ডো তার কাছে যান। ইমরান খান বলেন, আমি ভেবেছিলাম তারা আমার নিরাপত্তা দিতে এসেছেন। কিন্তু পরে বুঝতে পারি, তারা আমাকে গ্রেপ্তার করতে এসেছে।