জ্বালানির দাম কমায় ২০২১ সালের পর সর্বনিম্ন মূল্যস্ফীতি যুক্তরাষ্ট্রে

জ্বালানির দাম কমায় ২০২১ সালের পর সর্বনিম্ন মূল্যস্ফীতি যুক্তরাষ্ট্রে

যুক্তরাষ্ট্রে গত মাসে কমেছে ডিম, পেট্রোল এবং আসবাবপত্রের দাম। এরফলে এক বছর আগে যখন যুক্তরাষ্ট্র ৪০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতি দেখেছিল, তা এখন অর্ধেকে নেমে এসেছে। যুক্তরাষ্ট্রের ল্যাবর ডিপার্টমেন্ট জানিয়েছে, গত মে মাসে দেশটির মূল্যস্ফীতি ছিল ৪ শতাংশ। এর আগে এপ্রিলে ছিল ৪.৯ শতাংশ। অর্থাৎ, আস্তে আস্তে যুক্তরাষ্ট্রে পণ্যের দাম বৃদ্ধির হার কমে আসছে।

এরইমধ্যে বিষয়টির কৃতিত্ব দাবি করে টুইটারে একাধিক পোস্ট করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। মূল্যস্ফীতি ঠেকাতে আরও পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন কিনা তা নিয়ে আলোচনা করতে বৈঠক ডেকেছিল মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এর আগেই মূল্যস্ফীতি হ্রাসের সুখবর পাওয়া গেলো। দাম বৃদ্ধিতে লাগাম টানাতে মার্কিন কর্মকর্তারা গত বছর থেকে সুদের হার বাড়িয়ে চলেছেন। ২০২২ সালের মার্চ মাসে যেখানে সুদের হার ছিল শূন্যের কাছাকাছি, তা এখন ৫ শতাংশের বেশিতে গিয়ে ঠেকেছে। বিশ্লেষকরা আশা করছেন যে, ফেড এই মাসে সুদের হার অপরিবর্তিত রাখবে।

বিবিসির খবরে জানানো হয়েছে, গত বছর থেকে ডিমের দাম ১৩.৮ শতাংশ কমেছে।

১৯৫১ সালের পর এটাই ডিমের দামের সবচেয়ে বড় পতন। অপরদিকে পেট্রলের দাম প্রায় ২০ শতাংশ কমেছে। সামগ্রিকভাবে ২০২১ সালের মার্চ মাসের পর সবথেকে কম মূল্যস্ফীতি রেকর্ড হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। তবে ২ শতাংশ মূল্যস্ফীতিকে স্বাভাবিক ধরে নেয়া হয়। সে হিসেবে এখনও যুক্তরাষ্ট্রের মূল্যস্ফীতি অনেক বেশি।

বিশেষ করে ভাড়া সহ আবাসন ব্যয় বেড়েই চলেছে সেখানে। বিয়ার, নারীদের পোশাক এবং গাড়ির রক্ষণাবেক্ষণ থেকে শুরু করে স্কুলের ফি পর্যন্ত বেড়েছে। ইউক্রেনের যুদ্ধের ফলে জ্বালানি ও খাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় ২০২২ সালের জুন মাসে মূল্যস্ফীতি ৯.১ শতাংশে পৌঁছেছিল! ১৯৮১ সালের নভেম্বরের পর এটি ছিল সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতি। যদিও এখন সমস্যাটি কমে গেছে তবে কিছু বিশ্লেষক বলছেন যে, মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ফেডকে আরও পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।