যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানের স্বাধীনতাকে সমর্থন করে না: ব্লিঙ্কেন

যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানের স্বাধীনতাকে সমর্থন করে না: ব্লিঙ্কেন

চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংসহ দেশটির শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন বলেছেন, ওয়াশিংটন তাইওয়ানের স্বাধীনতাকে সমর্থন করে না। অর্থাৎ এক চীন নীতির প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘদিনের অবস্থান এখনো অটুট রয়েছে।

দুই দিনের চীন সফরের শেষ দিনে আজ সোমবার প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন ব্লিঙ্কেন। এরপর সংবাদ সম্মেলনে তাইওয়ান বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে নীতির কোনো পরিবর্তন হয়নি। আমরা তাইওয়ানের স্বাধীনতাকে সমর্থন করি না।’

তবে তাইওয়ান প্রণালিতে চীনের ‘উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডের’ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ তিনি প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের কাছে তুলে ধরেছেন বলে ব্লিঙ্কেন জানিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, সির সঙ্গে বৈঠকে ইউক্রেনের রাশিয়ার ‘আগ্রাসনমূলক যুদ্ধ’সহ বৈশ্বিক নানা বিষয়ে বিস্তৃত আলোচনা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নের জবাবে ব্লিঙ্কেন বলেন, চীন রাশিয়াকে প্রাণঘাতী অস্ত্র দেবে না। সম্প্রতি শুধু যুক্তরাষ্ট্র নয়, অন্যান্য দেশকেও এ প্রতিশ্রুতি দিয়েছে চীন। তিনি বলেন, ‘এটা খুবই গুরুপূর্ণ একটি প্রতিশ্রুতি, একটি গুরুত্বপূর্ণ নীতি। এর সঙ্গে সাংঘর্ষিক কোনো কিছু এখন আমরা দেখতে পাচ্ছি না।’

তবে এ বিষয়ে চীনের বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ রয়েছে বলে উল্লেখ করেন ব্লিঙ্কেন। তিনি বলেন, এসব প্রতিষ্ঠান রাশিয়াকে সহযোগিতা করতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে তারা ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক সক্ষমতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখছে।

চীনে শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে মানবাধিকার লঙ্ঘন, বিশেষ করে জিনজিয়াং, তিব্বত ও হংকংয়ে চীনের মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ‘গভীর উদ্বেগের’ কথা তুলে ধরেছেন বলে জানিয়েছেন ব্লিঙ্কেন। তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র চীনকে অর্থনৈতিকভাবে আটকে রাখতে চায় বলে জল্পনা রয়েছে। এ বিষয়ে তিনি চীনের জনগণকে আশ্বস্ত করছেন যে যুক্তরাষ্ট্র এমনটি চায় না। ব্লিঙ্কেন বলেন, চীনের বৃহত্তর অর্থনৈতিক অগ্রগতি যুক্তরাষ্ট্রকেও লাভবান করছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে চীনের নির্দিষ্ট কিছু প্রযুক্তির বিস্তার ঠেকাতে ব্যবস্থা নিতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নোত্তরে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্বীকার করেন যে যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সম্পর্কে অস্থিরতা রয়েছে এবং এখানে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনাটা গুরুত্বপূর্ণ।

এর আগে গতকাল রবিবার বেইজিংয়ে চীনের শীর্ষ কূটনীতিক ওয়াং ই এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিন গ্যাংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন।