মানবাধিকার ইস্যুতে মোদির সাথে কথা বলতে বাইডেনকে ৭৫  আইনপ্রণেতার চিঠি, বয়কটের ঘোষণা ২ জনের

মানবাধিকার ইস্যুতে মোদির সাথে কথা বলতে বাইডেনকে ৭৫  আইনপ্রণেতার চিঠি, বয়কটের ঘোষণা ২ জনের

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কয়েক ডজন সহকর্মী ডেমোক্রেট তাকে লেখা এক চিঠিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাথে বৈঠকে মানবাধিকারের সমস্যাগুলো উত্থাপন করার জন্য অনুরোধ করেছেন। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর নিশ্চিত করে জানিয়েছে, মোট ৭৫ জন ডেমোক্রেটিক সিনেটর এবং প্রতিনিধি পরিষদের সদস্যরা ওই চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন। পাশাপাশি কংগ্রেসে মোদির ভাষণ বয়কটের ঘোষণা দিয়েছেন দুই কংগ্রেস সদস্য। হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভের দুই সদস্য রাশিদা তালাইব ও ইলহান ওমর টুইটারে ঘোষণা করেছেন যে, বৃহস্পতিবার মার্কিন কংগ্রেসে মোদির ভাষণ তারা বয়কট করবেন।

টুইটারে রাশিদা বলেন, এটি লজ্জাজনক যে মোদিকে আমাদের দেশের রাজধানীতে একটি প্ল্যাটফর্ম দেয়া হয়েছে। তার মানবাধিকার লঙ্ঘনের দীর্ঘ ইতিহাস, গণতন্ত্র বিরোধী পদক্ষেপ, মুসলিমসহ অন্য ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের টার্গেট করা এবং সাংবাদিকদের সেন্সর করা অগ্রহণযোগ্য। আমি কংগ্রেসে মোদির যৌথ ভাষণ বয়কট করতে যাচ্ছি। অপরদিকে আরেক ডেমোক্রেটিক কংগ্রেসওম্যান ইলহান ওমর টুইটারে লিখেছেন, প্রধানমন্ত্রী মোদির সরকার ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের দমন করেছে, হিংসাত্মক হিন্দু জাতীয়তাবাদী গোষ্ঠীগুলোকে উৎসাহিত করেছে এবং সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মীদের টার্গেট করেছে। তাই আমি মোদির বক্তৃতায় অংশ নেব না। পাশাপাশি তিনি জানান যে, প্রধানমন্ত্রী মোদির ‘দমন ও সহিংসতার রেকর্ড নিয়ে আলোচনা করার জন্য মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলির সাথে একটি ব্রিফিং করবেন তিনি।

এদিকে বাইডেনের কাছে পাঠানো চিঠিতে স্বাক্ষর করা মার্কিন আইনপ্রণেতারা জানান, ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, ইন্টারনেটে প্রবেশাধিকার এবং সুশীল সমাজের সংগঠনগুলোকে টার্গেট করার বিষয়ে তারা উদ্বিগ্ন। সিনেটর ক্রিস ভ্যান হোলেন এবং রিপ্রেজেনটেটিভ প্রমিলা জয়পালের নেতৃত্বে লেখা ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘কোনও নির্দিষ্ট ভারতীয় নেতা বা রাজনৈতিক দলকে আমরা সমর্থন করি না৷ এটা ভারতের জনগণের (নিজেদের) সিদ্ধান্ত। কিন্তু, আমরা সেইসব গুরুত্বপূর্ণ নীতিগুলোর সমর্থনে দাঁড়িয়েছি যেগুলো আমেরিকান পররাষ্ট্র নীতির মূল অংশ হওয়া উচিত।’

চিঠিতে লেখা হয়, প্রধানমন্ত্রী মোদির সাথে আপনার সাক্ষাতের সময় আপনি যেনো আমাদের দুই মহান দেশের মধ্যে একটি সফল, শক্তিশালী এবং দীর্ঘমেয়াদী সম্পর্কের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর সম্পূর্ণ পরিসর নিয়ে আলোচনা করেন, আমরা সেটাই চাই।