রাশিয়ায় বিদ্রোহ, রুশ সেনাদের সঙ্গে ওয়াগনার গ্রুপের তুমুল লড়াই

রাশিয়ায় বিদ্রোহ, রুশ সেনাদের সঙ্গে ওয়াগনার গ্রুপের তুমুল লড়াই

রাশিয়ার সেনাবাহিনীর সঙ্গে তুমুল লড়াই চলছে ভাড়াটে আধাসামরিক বাহিনী ওয়াগনার গ্রুপের। সশস্ত্র বিদ্রোহে লিপ্ত হওয়ার অভিযোগে গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও নেতা ইয়েভগেনি প্রিগোঝিনকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছে ক্রেমলিন। একইসঙ্গে তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে। এ খবর দিয়েছে বিবিসি।

এদিকে প্রিগোঝিন ঘোষণা দিয়েছেন, তিনি যে কোন মূল্য রাশিয়ান সেনাবাহিনীর নেতৃত্বের পতন ঘটাবেন। এরই মধ্যে তিনি ইউক্রেন থেকে সীমান্তের লাগোয়াবর্তী রাশিয়ার রোস্তভ অঞ্চলে প্রবেশ করেছেন এবং একটা রাশিয়ান হেলিকপ্টার ধ্বংস করেছেন বলে দাবি করছেন।

ওদিকে রাশিয়ায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে, ইন্টারনেট নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে এবং মস্কোর রাস্তায় সামরিক ট্রাকের দেখা মিলছে।

ইউক্রেনে রাশিয়ার সেনাবাহিনীর পাশাপাশি যুদ্ধে লিপ্ত ভাড়াটে ওয়াগনার গ্রুপ। এর নেতা ৬২ বছর বয়সী ইয়েভগেনি প্রিগোঝিন বিভিন্ন সময় যুদ্ধের কৌশল নিয়ে রাশিয়ার সেনাবাহিনীর নেতৃ্ত্েবর সমালোচনা করে আসছেন।

শুক্রবার তিনি তার দলের সৈন্যদের উপর এক মারাত্মক মিসাইল হামলার অভিযোগ করেন রাশিয়ার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে। মি. প্রিগোঝিন এই অভিযোগের পক্ষে কোন প্রমাণ দেখাননি তবে যারা এই হামলা করেছে তাদের শাস্তি দেয়ার শপথ নেন তিনি।
তবে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এই মিসাইল হামলার কথা অস্বীকার করে এবং প্রিগোঝিনকে সবরকম ‘অবৈধ কার্যক্রম’ বন্ধের আহবান জানায়।

তার বিরুদ্ধে সশস্ত্র বিদ্রোহের অভিযোগ এনেছে ক্রেমলিন। তবে কোন সামরিক অভ্যুত্থানের কথা অস্বীকার করেছেন ওয়াগনার দলনেতা।

শনিবার সকালে অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায় ওয়াগনারের সৈন্যরা রাশিয়ার শহর রোস্তভ-অন-ডনে প্রবেশ করছে। তবে এই ভিডিও সত্যতা যাচাই সম্ভব হয়নি।

আরেক ভিডিওতে দেখা যায় সশস্ত্র সৈন্যরা এক সরকারি ভবন ঘিরে রেখেছে এবং দুটি ট্যাংক থেকে অস্ত্র তাক করে রাখা হয়েছে। রয়টার্স বলছে এটি পুলিশ হেডকোয়াটার্স ভবন।