বড় ধরনের সামরিক কুচকাওয়াজ করল পোল্যান্ড

বড় ধরনের সামরিক কুচকাওয়াজ করল পোল্যান্ড

ন্যাটোর সদস্য পোল্যান্ড বড় ধরনের সামরিক কুচকাওয়াজ করেছে। কুচকাওয়াজে দেশটির অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্র প্রদর্শন করা হয়।

স্নায়ুযুদ্ধের পর গতকাল মঙ্গলবার পোল্যান্ডের সশস্ত্র বাহিনী দিবসে সবচেয়ে বড় সামরিক কুচকাওয়াজ করল ওয়ারশ।

১৯২০ সালে ওয়ারশ যুদ্ধে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের লাল ফৌজের (রেড আর্মি) বিরুদ্ধে পোল্যান্ডের বিজয়ের ১০৩তম বার্ষিকী উপলক্ষে এই সামরিক কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হলো।

পোল্যান্ডের প্রতিবেশী দেশ ইউক্রেনে প্রায় দেড় বছর ধরে রুশ আগ্রাসন চলছে। ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রার রুশ আগ্রাসন পোল্যান্ডের সশস্ত্র বাহিনীকে শক্তিশালী করার বিষয়টিকে দেশটির ক্ষমতাসীন জাতীয়তাবাদী ‘ল অ্যান্ড জাস্টিস’ দলের জন্য একটি অগ্রাধিকারে পরিণত করেছে। আগামী অক্টোবরে পোল্যান্ডে পার্লামেন্ট নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। এমন প্রেক্ষাপটে স্মরণকালের সবচেয়ে বড় সামরিক কুচকাওয়াজ করল পোল্যান্ড।

পোল্যান্ডে এখন পুরোদমে নির্বাচনী প্রচার চলছে। গতকালের ব্যাপক সামরিক কুচকাওয়াজে বিপুল ও অত্যাধুনিক সব অস্ত্রশস্ত্র প্রদর্শনের মধ্য দিয়ে পোল্যান্ডের বর্তমান সরকার এই বিষয় প্রচার করার সুযোগ পেয়েছে যে তারা দেশটির নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়। পোল্যান্ডের নিরাপত্তা নিশ্চিতে এই সরকার যোগ্য।

সামরিক কুচকাওয়াজের উদ্বোধনী বক্তৃতায় পোল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেজ দুদা বলেন, ‘আমাদের পূর্ব সীমান্তের প্রতিরক্ষা, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ন্যাটোর সীমানা আজ পোল্যান্ডের রাষ্ট্রীয় স্বার্থের একটি মূল উপাদান।’

পোল্যান্ড ও অন্য ন্যাটো দেশগুলোর প্রায় দুই হাজার সেনা এই সামরিক কুচকাওয়াজে অংশ নেন। পাশাপাশি ২০০টি সামরিক যানসহ অন্যান্য সরঞ্জাম কুচকাওয়াজে প্রদর্শিত হয়। এ ছাড়া প্রায় ১০০টি সামরিক উড়োজাহাজ কুচকাওয়াজে অংশ নেয়।