সিঙ্গাপুরে অর্থপাচারের দায়ে ১০ বিদেশি গ্রেপ্তার

সিঙ্গাপুরে অর্থপাচারের দায়ে ১০ বিদেশি গ্রেপ্তার

সিঙ্গাপুরে বড় ধরনের অভিযান চালিয়ে অর্থপাচার ও জালিয়াতির অভিযোগে ১০ বিদেশিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সেইসঙ্গে প্রায় ১০০ কোটি সিঙ্গাপুরি ডলার সমপরিমাণ নগদ অর্থ, স্থাবর সম্পত্তি, বিলাসবহুল গাড়ি এবং অন্যান্য সম্পদ জব্দ করা হয়েছে। তারা চীন, তুরস্ক, সাইপ্রাস, কম্বোডিয়া এবং ভানুয়াতুর নাগরিক। তবে এ পর্যন্ত এই অভিযানে কোনো বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তারের খবর পাওয়া যায়নি।

পুলিশ বুধবার (১৬ আগস্ট) এক বিবৃতিতে বলেছে, সন্দেহভাজনদের গ্রেপ্তার করতে মঙ্গলবার অভিজাত আবাসিক এলাকাসহ দেশজুড়ে একযোগে অভিযান চালিয়েছে।

চার শতাধিক পুলিশ সদস্য নিয়ে চালানো এই অভিযানে ৯৪টি স্থাবর সম্পত্তি ও ৫০টি গাড়ি জব্দের নির্দেশ জারি করা হয়েছে। এগুলোর আনুমানিক মূল্য ৮১ কোটি ৫০ লাখ সিঙ্গাপুরি ডলারের বেশি। তাছাড়া ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, নগদ টাকা, বিলাসবহুল ব্যাগ, অলঙ্কার, ঘড়ি, ইলেকট্রনিক ডিভাইস এবং ভার্চুয়াল সম্পদের তথ্যসহ কিছু নথিপত্রও জব্দ করা হয়েছে। খবর রয়টার্স।

সিঙ্গাপুরের পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেপ্তার হওয়া বিদেশিদের বয়স ৩১ থেকে ৪৪ এর মধ্যে এবং তারা চীন, তুরস্ক, সাইপ্রাস, কম্বোডিয়া এবং ভানুয়াতুর নাগরিক। এই অভিযানে কোনো বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তারের খবর পাওয়া যায়নি। তবে গত ৪ আগস্ট প্রকাশিত দ্য ডেইলি স্টারের অনুসন্ধানে দেখা গেছে রাষ্ট্রীয় অনুমতি তোয়াক্কা না করে বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান এস আলম গ্রুপের মালিক মোহাম্মদ সাইফুল আলম সিঙ্গাপুরে কমপক্ষে এক বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। যদিও বিদেশে বিনিয়োগ বা অর্থ স্থানান্তরে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছ থেকে এ সংক্রান্ত কোনো অনুমতি তিনি নেননি। বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক দেশের বাইরে বিনিয়োগের জন্য এ পর্যন্ত ১৭টি প্রতিষ্ঠানকে অনুমতি দিলেও চট্টগ্রামভিত্তিক বিশাল এই ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের নাম সেই তালিকায় নেই।

এদিকে, একটি আলাদা বিবৃতিতে সিঙ্গাপুরের কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছে, সম্ভাব্য জালিয়াতির অর্থ যেখানে চিহ্নিত করা হয়েছে সেসব আর্থিক প্রতিষ্ঠানের (এফআই) সঙ্গে তারা যোগাযোগ রাখছে। এই প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর নজরদারির কাজ চলছে। তবে জড়িত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নাম উল্লেখ করা হয়নি বিবৃতিতে।