পশ্চিমবঙ্গে বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ, নিহত ৮

পশ্চিমবঙ্গে বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ, নিহত ৮

রোববারের আলসে জড়ানো সকাল। ঘড়ির কাঁটা তখন সাড়ে ন’টার ঘর ছুঁয়েছে। হঠাৎই ভয়াবহ বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে উঠলো পশ্চিমবঙ্গের বারাসতের কাছে দত্তপুকুরের জগন্নাথপুর। সঙ্গে সঙ্গে দাউদাউ আগুন। আশপাশের বাড়ির আলসে ভেঙে পড়লো। সারসি ঝনঝন শব্দে ভাঙলো। মুহূর্তের মধ্যে রটে গেল সামসুল আলির বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ হয়েছে। উদ্ধারকারীরা হইচই করে ছুটে গেল। একটির পর একটি দগ্ধ লাশ উদ্ধার হয়েছে। দুপুর দেড়টা পর্যন্ত আটটি মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে।

 

উদ্ধারকাজে হাত লাগিয়েছে দমকল ও পুলিশ। ধ্বংসস্তূপ এর আড়াল থেকে একটির পর একটি মৃতদেহ উদ্ধার হচ্ছে আর কান্নার রোল উঠছে। নিহতরা প্রায় সকলেই এই বাজি কারখানার কর্মী ছিলেন।

বেআইনি কারখানার মালিক সামসুল আলি ঘটনার পর থেকে নিখোঁজ। তিনি পালিয়ে গেছেন বলে অভিযোগ। অভিযোগের তীর তৃণমূল কংগ্রেসের এক মন্ত্রীর দিকে। তাঁর মদতেই নাকি সামসুল এই কারখানা চালাতেন। সামসুল নিজেকে তৃণমূল কর্মী বলে পরিচয় দিত। অভিযোগ বড়বাজারের বাজি ব্যবসায়ীদের কাছে দাদন নিয়ে অর্থাৎ টাকা নিয়ে এই বাজি তৈরির কারখানা চালাতেন সামসুল। কারখানায় প্রাণঘাতী বোমা তৈরি হতো বলেও অভিযোগ। বাজি মূলত চালান যেত ভারতের উত্তরপূর্ব প্রান্তে এবং বাংলাদেশে।

শিলিগুড়িকে করিডর হিসেবে ব্যবহার করে মাল যেত এই দুই জায়গায়। পুলিশের অনুমান, বাংলাদেশের নির্বাচনে ব্যবহারের জন্য বোমা তৈরি হচ্ছিলো এই কারখানায়। সেখান থেকেই বিপত্তি। রোববারের এই ঘটনায় এগরার বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের ছায়া। তৃণমূল সরকার দৃশ্যত অস্বস্তিতে।