হামাস-ইসরাইল যুদ্ধে নিহত কমপক্ষে ১৪১৩

গাজার কাছে ইসরাইলের এক লাখ রিজার্ভ সেনা, কাছাকাছি মার্কিন যুদ্ধজাহাজ

গাজার কাছে ইসরাইলের এক লাখ রিজার্ভ সেনা, কাছাকাছি মার্কিন যুদ্ধজাহাজ

বাতাসে বারুদের গন্ধ। একের পর এক ইসরাইলি বোমা হামলা হচ্ছে ফিলিস্তিনের গাজায়। সেখানে নিহতের সংখ্যা কত সঠিক বলা সম্ভব নয়। তবে কোনো কোনো সংবাদ মাধ্যম বলছে এ সংখ্যা ৪১৩। রোববার দিবাগত রাতভর সেখানে মুহুর্মূহু বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরাইলি সেনারা। ফলে এ সংখ্যা যে নাটকীয়ভাবে বাড়বে এমন আশঙ্কা আছে।

ওদিকে হামাসের হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা প্রায় ১০০০ দাঁড়িয়েছে। এ অবস্থায় গাজার কাছে এক লাখ রিজার্ভ সেনা জড়ো করেছে ইসরাইল। তাদের সেনা মুখপাত্র জোনাথন কনরিকাস এ তথ্য দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, আমাদের কাজ হলো এটা নিশ্চিত করা যে, এই যুদ্ধ শেষ হয়েছে।ইসরাইলের বেসামরিক মানুষদের হুমকি হওয়ার কোনো সক্ষমতা যাতে না থাকে হামাসের, তা নিশ্চিত করা। আমরা এটাও নিশ্চিত করবো যে, গাজা উপত্যকা যাতে আর শাসন করতে সক্ষম না হয় হামাস।

তিনি আরও বলেন, ফিলিস্তিনি যোদ্ধা, যারা ইসরাইলে অনুপ্রবেশ করেছে, তাদের শেষ ব্যক্তিকে পর্যন্ত খুঁজে বের করবে ইসরাইলি সেনারা।

ওদিকে জাতিসংঘ বলছে, গাজায় বিমান হামলায় বাস্তুচ্যুত হয়েছেন এক লাখ ২৩ হাজার মানুষ। বিভিন্ন স্কুলে আশ্রয় নিয়েছেন প্রায় ৭৪ হাজার ফিলিস্তিনি। তেল উত্তোলনকারী ওই অঞ্চলে দীর্ঘস্থায়ী একটি যুদ্ধের আশঙ্কায় বিনিয়োগকারীরা থমকে গেছেন। ফলে সোমবার তেলের মূল্য বেড়ে গেছে। এ অবস্থায় ইসরাইলকে সমর্থন দিতে কাছাকাছি পৌঁছে গেছে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধবিমান বহনকারী যুদ্ধজাহাজ ইউএসএস জেরাল্ড আর ফোর্ড। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তেল আবিবকে কঠিন সমর্থন দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। অনলাইন বিবিসি, আল জাজিরা বলছে রোববার রাতেও ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা থেকে ইসরাইলের দক্ষিণে রকেট হামলা করা হয়েছে। তবে শনিবার হামাস যে পরিমাণ রকেট হামলা করেছে তা দুই দশকের ইতিহাস ভঙ্গ করেছে। এতে বিভিন্ন দেশের নাগরিক সহ ইসরাইলে ১০০০ মানুষ মারা গেছেন। ইসরাইলে সেনা সহ অনেক মানুষকে জিম্মি হিসেবে আটক করেছে হামাস।

ওদিকে পরিস্থিতি নিয়ে রোববার বৈঠক করেছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ।