আরো ২ বন্দীকে মুক্তি দিতে চেয়েছিল হামাস, ইসরাইল নেয়নি!

আরো ২ বন্দীকে মুক্তি দিতে চেয়েছিল হামাস, ইসরাইল নেয়নি!

গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস জানিয়েছে, তারা আরো দুই বন্দীকে মুক্তি দিতে চেয়েছিল। কিন্তু ইসরাইল তাদেরকে গ্রহণ করেনি। তবে ইসরাইল এটিকে হামাসের 'প্রপাগান্ডা' হিসেবে অভিহিত করেছে।

হামাসের মুখপাত্র আবু ওবায়দা বন্দী বিনিময় নিয়ে গ্রুপটির সাথে আলোচনাকারী কাতারকে জানিয়েছে, মানবিক কারণে শুক্রবার নরিথ ইউয়শাক ও ইয়কেফেড লিফশটজ নামের আরো দুই বন্দীকে মুক্তি দিতে চেয়েছিল। কিন্তু ইসরাইল তাদেরকে গ্রহণ করেনি। উল্লেখ্য, শুক্রবার হামাস দুই আমেরিকান জুডিথ তাই রানান এবং তার মেয়ে নাতালি রানানকে মুক্তি দেয়। তাদের সাথেই তারা আরো দুজনকে মুক্তি দিতে চেয়েছিল।

পরে এক বিবৃতিতে আবু ওবায়দা বলেন, জডিথ ও নাতালিকে যে প্রক্রিয়া অনুসরণ করে মুক্তি দিয়েছিল একই প্রক্রিয়া অনুসরণ করে রোববার তারা আরো দুজনকে মুক্তি দিতে চায়।

হামাস গত ৭ অক্টোবর ইসরাইলের অভ্যন্তরে অভিযান চালিয়ে ২১০ জনকে বন্দী করে। তাদেরকে গাজার ভেতরে বিভিন্ন স্থানে রাখা হয়েছে। তাদের মধ্যে নারী, শিশু, প্রবীণ ব্যক্তির পাশাপাশি ইসরাইলি সামরিক বাহিনীকে সক্রিয় সদস্যরাও রয়েছে।

এদিকে হামাসের আরেক মুখপাত্র খালেদ আল-কাদুমি আল জাজিরাকে বলেন, ইসরাইলি সরকার বন্দীদের গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানানোর কোনো কারণ জানায়নি।

এক সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর অফিস জানায়, 'আমরা হামাসের মিথ্যা প্রপাগান্ডার কথা উল্লেখ করব না। আমরা সকল অপহরণ করা এবং নিখোঁজ লোককে বাড়িতে ফিরিয়ে আনার সকল পন্থা অবলম্বন করতে থাকব।'

বন্দীদের মুক্তির কাজে নিয়োজিত কাতার এ ব্যাপারে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করেনি।

হামাসের 'অপারেশন আল-আকসা ফ্লাড' নামের অভিযানে ইসরাইলে ১৪ শ'র বেশি লোক নিহত হয়েছে। এদের বেশির ভাগই বেসামরিক নাগরিক। এছাড়া আহত হয়েছে সাড়ে তিন হাজারের বেশি।

এরপর থেকে গাজায় হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইল। তাদের হামলায় গাজায় প্রায় ৪,৪০০ লোক নিহত এবং ১৩,৫০০ লোক আহত হয়েছে। তারা গাজায় কঠোর অবরোধ আরোপ করে রেখেছে।

ইসরাইল হামাসকে পুরোপুরি ধ্বংস করার সংকল্প ব্যক্ত করেছে।

সূত্র : আল জাজিরা