ফিলিস্তিন ইস্যুতে জরুরি বৈঠকে বসবে জাতিসঙ্ঘ

ফিলিস্তিন ইস্যুতে জরুরি বৈঠকে বসবে জাতিসঙ্ঘ

জাতিসঙ্ঘ সাধারণ পরিষদ ফিলিস্তিন ইস্যুতে একটি বিশেষ জরুরি অধিবেশন করবে। বিভিন্ন দেশের পক্ষ থেকে জর্ডান এবং মৌরিতানিয়ার অনুরোধের পর ‘গুরুতর পরিস্থিতি’ সংক্রান্ত একটি অধিবেশনের ঘোষণা করে জাতিসঙ্ঘ।

মঙ্গলবার কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

জাতিসঙ্ঘের সাধারণ পরিষদের সভাপতি ডেনিস ফ্রান্সিস আগামী বৃহস্পতিবার ১৯৩ সদস্যের এই সভা আহ্বান করার ঘোষণা দেন।

এ সময় তিনি বলেন, ‘যখন নিরাপত্তা পরিষদ কাজ করতে অক্ষম হয়, তখন সাধারণ পরিষদকে অবশ্যই পদক্ষেপ নিতে হবে।’

গত সপ্তাহে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে জাতিসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদে একটি প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়। ১৫ সদস্যের এ পরিষদ একমতে পৌঁছাতে পারেনি।

এ সময় ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি চেয়ে যে প্রস্তাব উত্থাপন করেছিল রাশিয়া, তা বাতিল করে জাতিসঙ্ঘের সর্বোচ্চ ক্ষমতাধর সংস্থা নিরাপত্তা পরিষদ। ১৮ অক্টোবর নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে জাতিসঙ্ঘের নিযুক্ত রুশ রাষ্ট্রদূত ভাসিলি নেবেনজিয়া প্রস্তাবটি উত্থাপন করেছিলেন।

নেবেনজিয়ার উত্থাপিত সেই প্রস্তাবে গাজায় যুদ্ধবিরতি এবং ইসরাইল ও ফিলিস্তিনে বেসামরিক লোকজনকে হত্যার নিন্দা জ্ঞাপনের পাশাপাশি হামাসের হাতে আটক ইসরাইল ও অন্যান্য দেশের নাগরিকদের মুক্তি, মানবিক সহায়তা করিডোর গঠন এবং বেসামরিকদের নিরাপদে সরে যাওয়ার জন্য সেফ প্যাসেজের দাবিও অন্তর্ভুক্ত ছিল।

বৈঠকে প্রস্তাবটি উত্থাপনের পর নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী-অস্থায়ী ১৫ সদস্যরাষ্ট্রের মধ্যে চারটি রাষ্ট্র এটির পক্ষে এবং যুক্তরাষ্ট্রসহ অপর চারটি রাষ্ট্র এর বিপক্ষে ভোট দেয়; আর ভোটদান থেকে বিরত থাকেন বৈঠকে উপস্থিত অপর ছয় সদস্যরাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা।

নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যরাষ্ট্রের প্রতিনিধি কূটনীতিকরা জানান, বৈঠকে রাশিয়ার পাশাপাশি ব্রাজিলও এই ইস্যু সংক্রান্ত খসড়া একটি রেজোল্যুশন উত্থাপন করে এবং সেটি গ্রহণযোগ্যতা পায় অপেক্ষাকৃত বেশি। ব্রাজিলের সেই রেজোল্যুশনে এই হামালার জন্য হামাসকে নিন্দা জানানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস ইসরাইলের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান শুরু করেছে বলে ঘোষণা করে। এর প্রতিরোধে পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরাইল।

এক বিবৃতিতে হামাসের সামরিক শাখার প্রধান মোহাম্মদ দেইফ বলেন, গত শনিবার (৭ অক্টোবর) সকালে ইসরাইলে পাঁচ হাজার রকেট বর্ষণের মাধ্যমে 'অপারেশন আল-আকসা স্ট্রম' শুরু হয়েছে। এ সময় ইসরাইল গাজা থেকে অনুপ্রবেশের কথা স্বীকার করে।

বস্তুত, ১৯৫৩ সালের পর এই প্রথম এত বড় মাত্রার যুদ্ধ শুরু হয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের আল আকসা অঞ্চলে।
সূত্র : আল-জাজিরা