রাশিয়া সফরে যাচ্ছেন জয়শঙ্কর

রাশিয়া সফরে যাচ্ছেন জয়শঙ্কর

রাশিয়া সফরে যাচ্ছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর। আজ ২৫শে ডিসেম্বর তার এই সফরে যাওয়ার কথা। সফর স্থায়ী হবে ২৮শে ডিসেম্বর পর্যন্ত। বছর শেষের এই সফরে তিনি রাশিয়ার উপপ্রধানমন্ত্রী, শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক মন্ত্রী ডেনিস মানতুরোভের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। ২৪শে ডিসেম্বর এ তথ্য জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এ খবর দিয়েছে অনলাইন দ্য হিন্দু।

এই সফরে তিনি রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করবেন। এ বিষয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দুই দেশের সম্পর্ককে সময়ের পরীক্ষিত হিসেবে অভিহিত করেছে। বলেছে, ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে সময়ের পরীক্ষিত অংশীদারিত্ব স্থিতিশীল, স্থিতিস্থাপক রয়েছে। স্পেশাল অ্যান্ড প্রিভিলেজড স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারশিপের অনুপ্রেরণায় তা অব্যাহত থাকবে।

উল্লেখ্য, ড. জয়শঙ্কর এবং ড. মানতুরোভের মধ্যে এপ্রিলে নয়া দিল্লিতে সাক্ষাৎ হয়। ওই সময় ড. মানতুরোভ ভারত সফর করেন ব্যবসা, বাণিজ্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক আন্তঃসরকার সংলাপে অংশ নিতে।

ইউক্রেন সঙ্কটের মধ্যে তারা নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের বিনিময়ের বিষয়ে অর্থনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে। যুদ্ধ চলা অবস্থায় গত দুই বছরের মধ্যে এই দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক চারগুন বিস্তৃত হয়েছে। এ সময়ে ভারতের সবচেয়ে বড় জ্বালানি রপ্তানিকারক হয়ে উঠেছে রাশিয়া। এক্ষেত্রে প্রচলিত জ্বালানি সরবরাহকারী সৌদি আরব ও ইরাকের পরিবর্তে রাশিয়াকে বেছে নিয়েছে ভারত। ভারতে মানতুরোভের পূর্বের সফরের সময় উভয় পক্ষ ফ্রি ট্রেড এগ্রিমেন্ট নিয়ে সংলাপ করে।

এরপর ড. এস জয়শঙ্করের এই সফরকে দুই পক্ষের সম্পর্কের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। বছর শেষে ভারত-রাশিয়া সামিট হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এ বছর তা হচ্ছে না। ফলে জয়শঙ্করের এই সফরে এ বিষয় নিয়ে আলোচনা হতে পারে। ভারত-রাশিয়ার বার্ষিক সর্বশেষ সামিট হয় ২০২১ সালের ৬ই ডিসেম্বর। ওই সময় কয়েক ঘন্টার সফরে ভারত এসেছিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। দ্বিপক্ষীয় অব্যাহত সম্পর্কের ক্ষেত্রে বার্ষিক এই সামিটকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে মনে করা হয়। কিন্তু ইউক্রেন ইস্যুতে পুতিনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকার কারণে জি২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে তিনি নয়া দিল্লি সফরে আসেননি।

ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু তাকে উপেক্ষা করে রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক অব্যাহত রেখেছে ভারত। এমনকি তারা বাণিজ্য করছে জাতীয় মুদ্রা ব্যবহার করে। পেমেন্ট বা পাওনা নিতে বা দিতে ভারতে একাউন্ট খুলেছে রাশিয়ান ব্যাংকগুলো।