বেজে গেছে বিদায়ঘণ্টা, ৭০ ভাগ ইসরাইলি নেতানিয়াহুকে চায় না

বেজে গেছে বিদায়ঘণ্টা, ৭০ ভাগ ইসরাইলি নেতানিয়াহুকে চায় না

গাজায় ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে গিয়ে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিদায়ঘণ্টা বেজে গেছে। দেশটির ৭০ ভাগ লোক এখন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নেতানিয়াহুর পতন চায়।

গত ৭ অক্টোবর ইসরাইলে হামাসের হামলার পর পরিস্থিতি যেভাবে সামাল দিচ্ছেন নেতানিয়াহু, তাতে ইসরাইলিরা সন্তুষ্ট নয়।

চ্যানেল ১৩ নিউজের জরিপে দেখা যাচ্ছে, ৭০ ভাগ ইসরাইলি মনে করে যে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নেতানিয়াহুর পদত্যাগ করা উচিত।

আর এদের ৪১ ভাগ মনে করে, যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর তার পদত্যাগ করা উচিত। আর ৩১ ভাগ মনে করে, তার এখনই পদত্যাগ করা দরকার। মাত্র ১৯ ভাগ জবাবদাতা মনে করে, তার ওই পদে বহাল থাকা উচিত। মাত্র ৯ ভাগ জানিয়েছে, তারা জানে না যে নেতানিয়াহুর কী করা উচিত।

তবে নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, তিনি পদত্যাগ করবেন না। তিনি জানিয়েছেন, হামাসের সাথে বন্দী বিনিময়ে তিনি সম্ভব সবকিছু করবেন।

তিনি শনিবার সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের বলেন, 'হামাস সব ধরনের আলটিমেটাম দিয়ে যাচ্ছে, যেগুলো গ্রহণযোগ্য নয়। বিশ্বাসযোগ্য চুক্তি সম্ভব হলে তা করা হবে।'

তিনি সতর্কভাবে বলেন, 'এই মুহূর্তে আমি প্রত্যাশা বাড়িয়ে তুলতে চাই না।'

আরেক প্রশ্নের জবাবে নেতানিয়াহু বলেন, ৭ অক্টোবর থেকে তিনি যা বলে আসছেন, আবারো তা বলছেন। আর তা হলো তিনি পদত্যাগ করবেন না। তিনি বলেন,‌ আমি একমাত্র যে জিনিসটিকে বিদায় করতে চাই, তা হলো হামাস। আমি সে কাজটিই করছি।

তিনি বলেন, ৭ অক্টোবরকে কেন্দ্র করে ব্যথৃতার পূর্ণ তদ্ত হবে। তবে তা হবে যুদ্ধের পর। আমরা ওই ঘটনা থেকে ইতোমধ্যেই শিক্ষা গ্রহণ করেছি।

১০ বছর আগে ইরেটজ নেহেদেরেট স্যাটিরিক্যাল শোতে নেতানিয়াহু বলেছিলেন যে তিনি ইসরাইলের নিরাপত্তার তার অবদানের কারণে ইতিহাসে টিকে থাকবেন। বিষয়টি এই সংবাদ সম্মেলনে তাকে স্মরণ করিয়ে দিয়ে প্রশ্ন করা হয় যে তিনি এখনো তেমনটি মনে করেন কিনা।

জবাবে নেতানিয়াহু বলেন, 'ইতিহাস তা মূল্যায়ন করবে।' তিনি জোর দিয়ে বলেন, তিনি 'ইসরাইলকে অর্থনৈতিকভাবে, সামরিকভাবে এবং কূটনৈতিকভাবে শক্তিশালী হওয়া নিশ্চিত করার জন্য কাজ করছেন।'

তিনি বলেন, 'আমি যত দিন ইসরাইলকে নেতৃত্ব দিয়েছি, ইসরাইল অনেক বেশি শক্তিশালী হয়েছে।'

তিনি বলেন, তিনি শিগগিরই ৯০ দিন স্থায়ী বহুমুখী প্রচারণা শুরু করবেন। সূত্র : টাইমস অব ইসরাইল