ইসরাইল গাজায় ত্রাণ সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে : জাতিসঙ্ঘ

ইসরাইল গাজায় ত্রাণ সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে : জাতিসঙ্ঘ

ইসরাইলি বিক্ষোভকারীরা বৃহস্পতি ও শুক্রবার মানবিক সহায়তার ট্রাকগুলোকে কারেম আবু সালেম সীমান্ত ক্রসিং যাকে ইসরাইলে কেরেম শালোম বলা হয় এই ক্রসিং দিয়ে গাজায় প্রবেশ বাধা দেয়।

শনিবার কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, জাতিসঙ্ঘের মানবিক বিষয়ক সমন্বয়ের কার্যালয় (ইউএনওসিএইচএ) বলেছে, ‘খাদ্য, পানি ও চিকিৎসা সহায়তা প্রদানে বাধা দেয়ায় ইতোমধ্যেই গাজায় ভয়াবহ মানবিক পরিস্থিতিকে আরো বাড়িয়ে তুলেছে।

ইউএনওসিএইচএ তার সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে প্রতিবেদনে বলেছে যে- জানুয়ারির দ্বিতীয়ার্ধে ইসরাইলে একটি ‘পতনের প্রবণতা’ প্রত্যক্ষ করেছে যা মানবিক সহায়তা সরবরাহের জন্য গাজার উত্তর ও মধ্যাঞ্চলে প্রবেশের অনুমতি দিয়েছে।

এছাড়াও বৃহস্পতিবার এবং শুক্রবার বিকেলের মধ্যে, আকাশ, স্থল ও সমুদ্র থেকে ইসরাইলি বাহিনীর গাজায় হামলায় আরো ১৮৩ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৩৭৭ জন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসঙ্ঘ।

এদিকে গাজায় ইসরাইলের গণহত্যা বন্ধ করতে দক্ষিণ আফ্রিকার মামলার রায়ে ছয়টি নির্দেশনা দিয়েছে আন্তর্জাতিক বিচার আদালত।

এগুলো হলো :
১. আদালত বলেছে, এই মামলায় আদেশ দেয়ার এখতিয়ার রয়েছে তাদের।

২. আদালত গণহত্যা প্রতিরোধ করতে, গণহত্যার উস্কানির শাস্তি দিতে নির্দেশ দিয়েছে ইসরাইলকে।

৩. গণহত্যা বন্ধ করতে সব পদক্ষেপ গ্রহণ করতে ইসরাইলকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

৪. অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় আরো মানবিক সাহায্য পাঠানোর ব্যবস্থা করতে ইসরাইলকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

৫. আদালত ফিলিস্তিনিদের রক্ষা করতে আরো পদক্ষেপ গ্রহণ করার ওপর গুরুত্বারোপ করেছে। তবে যুদ্ধবিরতির নির্দেশ দেয়নি।

৬. এক মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য ইসরাইলকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

আন্তর্জাতিক আদালতের এই রায়ে খুশি হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। আর হতাশ হয়েছে ইসরাইল। কারণ দক্ষিণ আফ্রিকার যুক্তি মেনে নিয়েছে আদালত। তবে দক্ষিণ আফ্রিকা অবিলম্বে গাজায় যুদ্ধবিরতির যে আদেশ দিতে বলেছিল আদালতকে, তা দেয়া হয়নি। এটা তাদের জন্য পুরোপুরি জয় আনেনি।

এ রায়ের প্রতিক্রিয়ায় ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, ইসরাইল ‘আন্তর্জাতিক আইন মেনে নিজেদের এবং নিজেদের নাগরিকদের রক্ষা করতে থাকবে’।

ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘নিরঙ্কুশ বিজয় না হওয়া পর্যন্ত’ এবং ‘সমস্ত বন্দী ফিরে না আসা পর্যন্ত’ ইসরাইল এই যুদ্ধ চালিয়ে যাবে।

আইসিজের আজকের রায়ে গাজায় গণহত্যামূলক কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে ইসরাইলকে অবশ্যই সব ব্যবস্থা নিতে হবে বলে বলা হয়েছে।

তবে আইসিজে গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির বিষয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার অনুরোধের সাথে একমত হননি। সূত্র : আল-জাজিরা