‘ক্ষুধার্ত লাখো ফিলিস্তিনিকে সম্মিলিতভাবে শাস্তি দেয়া হচ্ছে’

‘ক্ষুধার্ত লাখো ফিলিস্তিনিকে সম্মিলিতভাবে শাস্তি দেয়া হচ্ছে’

ইউএনআরডব্লিউএতে অনুদান স্থগিত করা গণহত্যা কনভেনশনের ‘লঙ্ঘন’ হতে পারে মন্তব্য করে অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে জাতিসঙ্ঘের বিশেষ প্রতিবেদক ফ্রান্সেসকা আলবানিজ বলেছেন, এর মাধ্যমে তীব্র সঙ্কটে থাকা লাখো ফিলিস্তিনিকে সম্মিলিতভাবে শাস্তি দেয়া হচ্ছে।

রোবাবার কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ফ্রান্সেসকা আলবানিজ বেশ কয়েকটি ইউএনডব্লিউআরএ দাতাদের দ্বারা নেয়া সিদ্ধান্তকে ‘সবচেয়ে সঙ্কটময় সময়ে লাখ লাখ ফিলিস্তিনিকে সম্মিলিতভাবে শাস্তি’ হিসাবে বর্ণনা করেছেন।

আলবানিজ ফিলিস্তিনে জাতিসঙ্ঘের ত্রাণ ও শরণার্থী সংস্থায় (ইউএনআরডব্লিউএ) অনুদান স্থগিত করা ‘গণহত্যা কনভেনশনের অধীনে তাদের বাধ্যবাধকতা লঙ্ঘন’ হতে পারে।

আলবেনিজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের এক পোস্টে বলেছেন, ‘আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) যেদিন উপসংহারে পৌঁছেছে যে- ইসরাইল সম্ভবত গাজায় গণহত্যা করছে এর পরেই কিছু দেশ ইউএনআরডব্লিউএকে অর্থ ফেরত দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’

এর আগে আটটি দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে মিলে জাতিসঙ্ঘের সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএতে তাদের অনুদান স্থগিত করেছে।

এই দেশগুলো হলো- অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ফিনল্যান্ড, জার্মানি, ইতালি, নেদারল্যান্ড, সুইজারল্যান্ড ও যুক্তরাজ্য।

এদিকে আরো দুটি দেশ বলেছে যে তারা ইউএনআরডব্লিউএকে পর্যালোচনা করছে। তারা হলো- আয়ারল্যান্ড ও নরওয়ে।

১৯৪৯ সালে প্রতিষ্ঠিত জাতিসঙ্ঘের ত্রাণ ও কর্মসংস্থান সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ গাজায় কাজ পরিচালনা করা জাতিসঙ্ঘের বৃহত্তম সংস্থা। সংস্থাটি গাজা, পশ্চিম তীর, জর্ডান, লেবানন ও সিরিয়ার ফিলিস্তিনিদের স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা এবং অন্যান্য মানবিক সহায়তা প্রদান করে। গাজার অভ্যন্তরে সংস্থাটির প্রায় ১৩ হাজার কর্মী রয়েছে।

ইউএনআরডব্লিউএ একটি সামাজিক মাধ্যম পোস্টে বলেছে, ‘২০ লাখ মানুষ তাদের সাহায্যের ওপর নির্ভরশীল।’ সূত্র : আল-জাজিরা