পাকিস্তানের নির্বাচনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই, এগিয়ে ইমরান সমর্থিত প্রার্থীরা

পাকিস্তানের নির্বাচনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই, এগিয়ে ইমরান সমর্থিত প্রার্থীরা

পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদ নির্বাচনের ভোট গণনা চলছে। গতকাল অনুষ্ঠিত এই নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণায় অনেক দেরি হচ্ছে। এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত ফলাফলে তিন দলের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই দেখা যাচ্ছে।

বিবিসি উর্দু জানিয়েছে, বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টা ৪৮ মিনিট পর্যন্ত আসন জেতার দিক থেকে এগিয়ে আছেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। তারা এখন পর্যন্ত ২৬টি আসনে জয়লাভ করেছেন। বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) প্রার্থীরা পেয়েছেন ২৩টি আসন। আর সাম্প্রতিক সময়ে আলোচনায় থাকা নওয়াজ শরিফের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান মুসলিম লীগ (পিএমএল) এখন পর্যন্ত ২০টি আসন পেয়েছে। বাকি সাতটি আসনে জয়যুক্ত হয়েছে নির্বাচনে অংশ নেয়া অন্যান্য প্রার্থীরা।

অন্যদিকে কাতারভিত্তিক বার্তা সংস্থা আল জাজিরার তথ্য অনুযায়ী, স্বতন্ত্র প্রার্থীরা (তাদের মধ্যে কেউ কেউ ইমরান খান সমর্থিত) এখন পর্যন্ত পেয়েছেন ৩০টি আসন, পিপিপি পেয়েছে ২৬টি আসন এবং পিএমএল পেয়েছে ২১টি আসন।

পাকিস্তানে জাতীয় পরিষদে ২৬৬ আসনে সরাসরি ভোট হয়। নির্বাচনের আগে দুর্বৃত্তের গুলিতে এক প্রার্থী নিহত হওয়ায় একটি আসনে ভোট স্থগিত করা হয়েছিল আগেই। তাই গতকাল ভোট হয়েছে ২৬৫ আসনে।

ডনের খবরে বলা হয়েছে, কোনো দল এককভাবে সরকার গঠন করতে চাইলে এবার ১৩৪টি আসনে জিততে হবে। তবে বিশ্লেষকেরা বলছেন, পাকিস্তানে এবার কোনো দল নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নাও পেতে পারে।

হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের কারণে শেষ পর্যন্ত চূড়ান্ত বিজয়ী কে হবেন, তা নিয়ে বিশ্লেষকেরা এখনো স্পষ্ট করে আভাস দিতে পারছেন না।

এমনকি এতটা বিলম্বে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার নজির পাকিস্তানে বিরল। সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে বেশ অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। এর জেরে করাচি স্টক এক্সচেঞ্জের সূচক ও পাকিস্তানের সার্বভৌম বন্ডের দাম পড়েছে।

বিলম্বে ফলাফল ঘোষণার বিষয়ে পাকিস্তান নির্বাচন কমিশনের (ইসিপি) বিশেষ সচিব জাফর ইকবাল রয়টার্সকে বলেন, ইন্টারনেট ইস্যুতে ফলাফল ঘোষণায় বিলম্ব হয়েছে, তবে বিস্তারিত কোনো ব্যাখ্যা দেননি তিনি।

এর আগে গতকাল ভোট গ্রহণের দিনে পাকিস্তানজুড়ে বন্ধ রাখা হয়েছিল মুঠোফোন সেবা। দেশটির অনেক অঞ্চলে ইন্টারনেট বন্ধ থাকা কিংবা গতি কম থাকার খবরও জানা গিয়েছিল। নিরাপত্তার স্বার্থে এ উদ্যোগ নেয় দেশটির সরকার। তবে আজ পাকিস্তানে মুঠোফোন সেবা চালু রয়েছে।

বিশ্লেষকদের অনেকেই বলছেন, নতুন প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে থাকা নওয়াজকে সমর্থন দিচ্ছে পাকিস্তানে ক্ষমতাধর হিসেবে পরিচিত সামরিক বাহিনী। পারমাণবিক শক্তিধর পাকিস্তানের ইতিহাসে বেশির ভাগ সময় প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে সেনা-সমর্থিত সরকার দেশ শাসন করেছে।