মিয়ানমারের কাউলিন শহরে ভয়াবহ যুদ্ধ

মিয়ানমারের কাউলিন শহরে ভয়াবহ যুদ্ধ

মিয়ানমারের সাগাইং অঞ্চলের কাউলিন শহরে ভয়াবহ যুদ্ধ চলছে সেনাবাহিনী ও বিদ্রোহী পিপলস ডিফেন্স ফোর্সেসের (পিডিএফ) মধ্যে। এ অঞ্চলটি পিডিএফের নিয়ন্ত্রণে আছে। বেসামরিক জাতীয় ঐক্যের সরকারের (এনইউজি) প্রতি অনুগত পিডিএফের কাছ থেকে শহরটি পুনর্দখলের চেষ্টা করছে সামরিক জান্তা।

শনিবার উত্তর দিক থেকে সেখানে অগ্রসর হচ্ছে উনথো শহরে অবস্থানরত সেনাবাহিনী এবং দক্ষিণ দিক থেকে কান্তবালু ও কিউনহ্লা শহর থেকে সেনাবাহিনী হামলা চালাচ্ছে। বৃহস্পতিবার জান্তাবাহিনী আকাশপথে ও স্থলপথে হামলার মাধ্যমে এই শহরে প্রবেশ করে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন দ্য ইরাবতী।

প্রতিরোধ যোদ্ধারা বলেছে, তারা সামরিক জান্তার সেনাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্র ও সরঞ্জাম জব্দ করেছে। শুক্রবার শহরটিতে নতুন করে সংঘর্ষ শুরু হয়েছে। সামরিক জান্তার লাইন ইনফ্যান্টি ব্যাটালিয়ন ১২০ ধ্বংস করেছে বাড়িঘর। জান্তাবিরোধী কাউলিন রেভ্যুলুশন মিডিয়া গ্রুপ এ কথা বলেছে। কাউলিন রেভ্যুলুশন শুক্রবার ইরাবতীকে বলেছে, শহরটিতে অব্যাহত গোলাগুলি চলছে।

এতে বেসামরিক লোকজন হতাহত হয়েছে।

শুক্রবার বিকেলে শহরটির কাইওয়া জায়ার ওয়ার্ডে বাড়িঘরে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে সেনাবাহিনী। বুধবার পার্শ্ববর্তী কান্তবালু শহরের চ্যাথিন উইল্ডলাইফ স্যাংচুয়ারির কাছে যুদ্ধ হচ্ছিল। বৃহস্পতিবার প্রতিরোধ যোদ্ধারা তাদের বিরুদ্ধে পাল্টা হামলা চালায়। কিউনহ্লা এক্টিভিস্ট গ্রুপ বলেছে, দুই দিনে প্রতিরোধ যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিমান এবং এমআই-৩৫ হেলিকপ্টার ব্যবহার করে হামলা চালানো হয়েছে। এতে উভয় পক্ষেই হতাহত হয়েছে। প্রতিরোধ যোদ্ধাদের হামলার পর কান্তবালুতে সামরিক জান্তার ট্যাংক ব্যাটালিয়ন ৬০০৬ তে জরুরি অবতরণ করতে বাধ্য হয় এমআই-৩৫ হেলিকপ্টার। কয়েকদিনের হামলার পর ৬ই নভেম্বর সামরিক জান্তাবিরোধীরা কাউলিনের জেলা পর্যায়ের শহর দখল করেছিল। তারপর থেকেই সেখানে গোলা ফেলা হয়েছে। এতে প্রায় ১২ জন সাধারণ মানুষ নিহত হয়েছেন।