গাজায় যুদ্ধের অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে ক্ষুধা: ইইউ

গাজায় যুদ্ধের অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে ক্ষুধা: ইইউ

পব্রিত রমজান মাসেও অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে নৃশংস হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইল। এর ফলে সেখানে দেখা দিয়েছে তীব্র মানবিক সংকট। এমন অবস্থায় গাজায় অনাহারকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে অভিযোগ করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।

গাজায় অনাহারকে যুদ্ধের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে দাবি করেছেন ইইউর পররাষ্ট্র নীতি প্রধান জোসেফ বোরেল। তিনি অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে সহায়তার অপ্রতুল প্রবেশকে ‘মানবসৃষ্ট’ বিপর্যয় হিসাবে বর্ণনা করেছেন। এদিকে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু দক্ষিণ গাজায় আক্রমণ চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেছেন।

এই অঞ্চলে সাহায্য সহায়তা সরবরাহের দ্রুততম ও সবচেয়ে কার্যকর উপায় হলো রাস্তা দিয়ে সহায়তা পাঠানো। কিন্তু সাহায্য সংস্থাগুলো বলছে, ইসরাইলি নিষেধাজ্ঞার মানে হচ্ছে- যে পরিমাণ সাহায্য প্রয়োজন, তার কেবল একটি ভগ্নাংশই সেখানে প্রবেশ করছে। ইসরাইল বলেছে, গাজার খাদ্য সংকটের জন্য তারা দায়ী নয় কারণ তারা দক্ষিণে দুটি ক্রসিং দিয়ে সাহায্য প্রবেশের অনুমতি দিচ্ছে।

তবে মঙ্গলবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ভাষণ দেয়ার সময় ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র নীতি প্রধান জোসেফ বোরেল বলেন, কার্যকর স্থলপথের অভাবের কারণে এই অঞ্চলে মানবিক সংকট দেখা দিয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমরা এখন এমন জনসংখ্যার মুখোমুখি হচ্ছি যারা নিজেদের বেঁচে থাকার জন্য লড়াই করছে। গাজায় মানবিক সহায়তার প্রয়োজন এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন এই সহায়তা সেখানে পাঠাতে যতটা সম্ভব কাজ করছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘(মানবিক সংকট) মনুষ্যসৃষ্ট এবং যখন আমরা সমুদ্র, আকাশপথে সহায়তা প্রদানের পথ খুঁজি, তখন আমাদের মনে রাখতে হবে, রাস্তার মাধ্যমে সহায়তা প্রদানের প্রাকৃতিক উপায়... কৃত্রিমভাবে বন্ধ।’ জোসেফ বোরেল বলেন, ‘অনাহারকে যুদ্ধের অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে এবং যখন আমরা ইউক্রেনে এ ধরণের ঘটনার নিন্দা করেছি, তখন গাজায় যা ঘটছে তার জন্যও আমাদের একই শব্দ ব্যবহার করতে হবে।’ সূত্র: বিবিসি।